কামরুল ইসলাম হৃদয়, ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম:চট্রগ্রামে অজ্ঞাত নামা মহিলার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা যায়,কসমোপলিটন আবাসিক এলাকার ২১৮/এ,নিঝুম ভিলা থেকে গতকাল রাত ৯ টায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।নিঝুম ভিলার মালিকের বড় ছেলে জসীম উদ্দিন জানায়,আমার মা গত ৮ নভেম্বর জনাব হাফেজ উদ্দিন(৪০) নামে এক ব্যাক্তিকে নিচ তলার ঘরের একটি রুম ভাড়া দেয়।ভাড়া দেওয়ার সময় ভাড়াটিয়ার দেয়া জাতীয় সনদ ও জন্ম সনদের ফটোকপি নেয়া হয়।জাতীয় সনদমতে ভাড়াটিয়ার নাম: মো.হাফেজ উদ্দিন;পিতা:মৃত মোবাশ্বের;মাতা:খুজি আক্তার। বাড়ি:মোবাশ্বের সওদাগরের বাড়ি;গ্রাম:একলাসপুর;ডাকঘর:হরিনারায়নপুর,নোয়াখালী সদর।আইডিনং:১৫৯০৬০২৬৯৭২৩২।একই তথ্য উল্লেখ করে ২নং জালালাবাদ ওর্য়াড থেকে ৪ নভেম্বর নেয়া একটি জন্ম সনদের ফটোকপিও জমা দেন।তবে ভাড়াটিয়া ১১ নভেম্বর স্রী পরিচয়ে এই মহিলাকে নিয়ে বাসায় উঠে।এরপর আমরা কিছু জানিনা।বাড়িওয়ালার ২য় ছেলে শরিফ জানান,আজ একই ফ্লাটে আরেকটি রুম ভাড়ার জন্য ভাড়াটিয়া আসলে আমাদের কাছে রক্ষিত চবি দিয়ে রুমটি খুলতেই প্রচন্ড দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে আর একটু এগিয়ে মোবাইলের আলোতে দেখা যায় ফ্লোরে সেত সেতে রক্তের দাগ ও বিছানায় চাদর মোরানো মহিলার লাশ।সাথে সাথে আমি পাঁচলাইস থানায় ফোন করি,পুলিশ আসে।এ ব্যাপারে উপস্থিত পাঁচলাইস থানার কর্মরত এসআই ইদ্রিস জানান,খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি,লাশ দেখেছি।এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।তবে লাশের পঁচা দুর্গন্ধে বুঝা যায় ছয়-সাত দিন আগে মারা হতে পারে।ময়নাতদন্তের পরই সবকিছু বলা যাবে।পাশের বাসায় স্থায়ী বাসিন্ধা একজন জানায়, দু-তিন দিন যাবত দুর্গন্ধ পেলে ও আমরা ইঁদুর মরা বা নালার গন্ধ মনে করেছিলাম।পাঁচলাইস থানার কর্মরত এসআই ইদ্রিস জানান,বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে