দারুণ শুরুর পর রানের চাকা দ্রুত ঘোরাতে গিয়েই কিনা এই মুহূর্তে যথেষ্ট বিপদে বাংলাদেশ। ১৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর হঠাৎ করেই নেই চার উইকেট।
নির্দিষ্ট করেই বললে ১৭ বল আর ১৫ রানের মধ্যেই হয়েছে এই আসা-যাওয়ার খেলা। দুই ওপেনার তামিম-এনামুলতো ফিরেছেনই, সাজঘরের পথ ধরতে একেবারেই সময় নেননি, সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমান।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি ১৫ বছরের পুরোনো। ১৯৯৯ সালে ঢাকায় এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেনের ১৭৮ রানের যুগল আজ চট্টগ্রামে ম্লান হয়ে যাবে কিনা, এই নিয়ে যখন ভাবনা ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত রান আউটের শিকার তামিম ইকবাল। নিরীহ-দর্শন এক বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে দৌঁড়াতে গিয়ে দোনোমনা তামিম আউট হলেন সরাসরি থ্রোতে।
ব্যক্তিগত ৭৬ রানে তামিমের ফিরে যাওয়াটা যদি ছন্দপতন হয়, তাহলে পরের মুহূর্তে বিরাট এক ধাক্কাই অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশের জন্য। আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক ও সেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসান ফিরেছেন উদ্বোধনী জুটির ১৫৮ রানের সঙ্গে আর কোনো সংখ্যা যোগ না করেই। ব্যক্তিগত রানের খাতাটা খোলারও সুযোগ হয়নি তাঁর। সিবান্দার বলটি সাকিবকে আড়াল করে যখন স্টাম্প ছত্রখান করে দিল তখন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম রীতিমতো স্তব্ধ।
স্টেডিয়াম স্তব্ধ করে পানিয়াঙ্গারার বলে সিবান্দার এক দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন উদ্বোধনী জুটির আরেক রূপকার এনামুল হকও। ৭৯ রানে পানিয়াঙ্গারার বলটি এনামুল আপার কাট করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সিবান্দা যে ক্যাচটি নিলেন, সেটার দিকে কেবল মুগ্ধ হয়েই তাকিয়ে থাকতে হয়।
এনামুলের বিদায়ের পর ওই পানিয়াঙ্গারারই শিকার সাব্বির। তাঁর একটি শর্ট বলে পুল খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে কামুনগোজির হাতে ধরা পড়েন আগের ম্যাচেই অভিষিক্ত সাব্বির।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৬। বাংলাদেশের ইনিংসে ইতিমধ্যেই খেলা হয়ে গেছে ৪১টি ওভার।
দলকে লড়িয়ে সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে এই মুহূর্তে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।