গতকাল ঢাকা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা শরীরে ক্যামেরা স্থাপন করে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এ ক্যামেরার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় যে কোনো ঘটনার ভিডিও করতে পারবেন।
কয়েকটি ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যদের কাছে পরীক্ষামূলকভাবে এ ক্যামেরা তুলে দেওয়া হয়। শিগগিরই ক্যামেরা-প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ।
চীন থেকে এই ক্যামেরা আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ট্রাফিকের অন্যান্য বিভাগের সদস্যদেরও এ ক্যামেরা দেওয়া হবে। এরপর থানা ও পুলিশের টহল টিমের সদস্যদের হাতে একই ধরনের ক্যামেরা সরবরাহ করা হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (ফিন্যান্স ও বাজেট) ইমাম হোসেন সমকালকে বলেন, পুলিশ নগরবাসীর সেবায় আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এ লক্ষ্যে শরীরের সঙ্গে যুক্ত (বডি ওর্ন) এ ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের একজন সদস্য জানান, রাস্তায় দায়িত্ব পালনকালে অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ঝামেলা হয়। এর পর সেই ঘটনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়। তাই প্রকৃত ঘটনা নির্ণয় করা কঠিন। তাই বডি ওর্ন ক্যামেরার মাধ্যমে রাস্তার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে চায় পুুলিশ।
বর্তমানে রাজধানীর চারটি মূল প্রবেশপথসহ ১৪টি স্থানে সিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে যানবাহন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এসব জায়গায় ১০২টি গোপন ক্যামেরা বসানো আছে। পুলিশ কোনো যানবাহনকে কালো তালিকাভুক্ত করলে তা ওই ক্যামেরার মাধ্যমে খুঁজে বের করা সম্ভব। গোপন ক্যামেরার সামনে ওই যানবাহন পড়লে তার নম্বর প্লেট ও অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। ক্যামেরা কালো তালিকাভুক্ত যানবাহনের ছবি তুলে সংশ্লিষ্ট জায়গায় নিজেই পাঠাবে। ছবি তোলা যাবে সংশ্লিষ্ট গাড়িচালকেরও।
এর পর দ্রুত ওই যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। বিশেষ করে অনেক পথচারী ও গাড়িচালকের অভিযোগ, ট্রাফিক সিগন্যালে সার্জেন্টরা দুর্ব্যবহার করেন। তবে অধিকাংশ সময়ই পথচারীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন সার্জেন্টরা।