রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. একেএম শফিউল ইসলাম হত্যার মূলহোতা রাজশাহীর কাটাখালি পৌর যুবদলের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মানিক। ব্যাক্তিজীবনে মানিক তার মেজভাই ও রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্বাস আলীর পৃষ্ঠপোষকতায় কাটাখালিতে ডাকাতী-চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরণের অপকর্মের মাধ্যেমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
তার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, মানিকের বাবা আশরাফের দুই স্ত্রী ছিল। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর তিন সন্তান ছিল। মানিক ছিল সবার ছোট। মেজ ভাই মহানগর যুবলীগের নেতা আব্বাস আলীর পৃষ্ঠপোষকতায় এলাকাতে নানা অপকর্ম করত। বিশেষ করে কাটাখালি-কাপাশিয়া, কাটাখালি-হরিয়ান এলাকায় নিয়মিত চুরি ছিনতাহ করত। এমনকি হোন্ডা চুরির অভিযোগে তাকে আটক করেছিল পুলিশ। একাধিক মামলার আসামী মানিকের একটি ডাকাতী চক্র আছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
পারিবারিক জীবনে মানিকের সংসারে সর্বদা অশান্তি লেগেই থাকত। গত কিছুদিন তার স্ত্রী আত্বহত্যার উদ্দেশ্যে হারপিক খায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে আছেন বলে জানা গেছে। এদিকে মানিক ও আব্বাস রাজনৈতিক ভাবে টেন্ডার আদায় করত। আর তাদের বড় ভাই আশের আলী এলাকায় টেন্ডার নিয়ে কাজ করত।
স্থানীয়ভাবে খোজ নিয়ে জানা যায়, কাটাখালিতে মানিক চুরি-ডাকাতীসহ ছিনতাহসহ অপকর্ম করে। আর তার ভাই যুবলীগ নেতা তাকে শেলটার দেয়। তারা অভিযোগ করেন, শুধু মানিক নয়, এর আগে তার বড় দুই ভাই আশের ও আব্বাস শাহাপুরের আবু বকর সিদ্দিক হত্যা মামলায় দুই ভাই গ্রেফতার হন। বর্তমানে তারা দুইজন জামিনে আছেন।
এদিকে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পেটকাটা মামুন হচ্ছে মানিকের চাচাতো ভাই বলেও জানা গেছে।