ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কটূক্তি করে মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ হারানো আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে রাতের মধ্যে গ্রেফতার না করলে ‘ঢাকা ঘেরাও’ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম।
একই দাবিতে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশ। রোববার রাতে উভয় সংগঠনের পক্ষ থেকে দুই মুখপাত্র এ ঘোষণা দেন।
সাবেক এই মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী রোববার রাত ৮.৪০ মিনিটের ভারতের এইটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। এই মুহূর্তে তিনি ইমিগ্রেশন পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইর্য়ক সফরকালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সেসময়কার (বর্তমানে সাবেক) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী। এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনও কাম নাই। এদের কোনও প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তাবলিগ জামাত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোনও কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।
এই বক্তব্যের পর মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি উঠে।
নানান সমালোচনার মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের পদ থেকেও তাকে বাদ দেওয়া হয় এবং তার প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
শুরু থেকেই হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী দলগুলো লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছে। গ্রেফতারের জন্য হরতালও পালন করেছে দলগুলো।