থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবে সাফল্যের সাথে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি (বাবিসাস) সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আবুল হোসেন মজুমদার। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মালেশিয়ান মালিন্দা এয়ারলাইন্সে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এই সফলে তিনি থাইল্যান্ড ছাড়াও সিঙ্গাপুর ও মালেশিয়ায় ভ্রমণ করেন। সফরের অন্যতম অর্জন হিসেবে তিনি ‘পার্সোনালিটি অব সাউথ এশিয়া’ খেতাব নিয়ে আসেন।
থাইল্যান্ডে বিশ্বের ৭০টি দেশের অংগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ‘থাইল্যান্ড আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৪’, যে উৎসবটিকে বেসরকারি পর্যায়ে সর্ববৃহৎ সাংস্কৃতিক উৎসব ও মিলনমেলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এই উৎসবে বাংলাদেশের ১২ সদস্যবিশিষ্ট সাংস্কৃতিক দলের নেতৃত্ব দেন আবুল হোসেন মজুমদার। তার প্রধান সহযোগী হিসেবে ছিলেন দীপ্ত নৃত্যকলা একাডেমীর প্রিন্সিপ্যাল, আন্তর্জাতিক নৃত্যপরিচালক শিপ্রা প্যারিস। অন্যতম সহযোগী হিসেবে ছিলেন পারভেজ আহমেদ বাবুল।
উৎসবে বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধিদের সাথে ভাব-বিনিময় এবং কৃষ্টি-কালচার সম্পর্কে মত বিনিময় করেন তিনি। উৎসবের অন্যতম একটি ‘সেগমেন্ট’ হিসেবে জোনভিত্তিক খেতাব-সম্মাননা প্রদান করা হয়, যাতে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে ‘পার্সোনালিটি অব সাউথ এশিয়া’ খেতাব অর্জন করেন তিনি। এই খেতাব-এর জন্য শুধু উৎসবে অংশগ্রহণ ও পারফরমেন্সই নয়, বরং সংগঠকদের ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ওয়েবসাইট ও ফেসবুক এক্টিভিটিস পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে আয়োজক কর্তৃপক্ষ এই সম্মাননা প্রদান করেন।
এই সম্মানজনক খেতাব সম্পর্কে আবুল হোসেন মজুমদার বলেন, ‘বেসরকারি পর্যায়ে এটা শুধু আমাদের দেশের জন্যই নয়, আমি মনে করে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা একটা বিরল সম্মান। এই খেতাব প্রাপ্তির গৌরবটুকু আমি আমাদের দেশের সকল শিল্পী-কুশলী ও সংগঠকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে চাই। এই সম্মান আমার দায়িত্ববোধকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর আবুল হোসেন এর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক দলটি থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য যাত্রা করেছিলো। উৎসবে বাংলাদেশ দলের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিল্পী ও সংগঠকদের কাছে ব্যাপক সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়।
– রশীদ নিউটন