শামীম রেজা ডাফরুল, গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নব-নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ নিয়ে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বরের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ভূমিহীনদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় যে কোন মূহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে। এলাকার ভ’মিহীনরা স্থানীয় সংসদসদস্যের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করলে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
করতোয়া নদীর বাঁধের উপর আশ্রিত ভ’মিহীনদের জাতীয় সংসদ সদস্যে সহ বিভিন্ন দপ্তর বরাবরে করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের খানসাপাড়া গ্রামের ভ’মিহীনদের জন্য একটি আশ্রয়ন প্রকল্পে ১১০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। নব নির্মিত এসব ঘরে ১১০ জন ভূমিহীন পরিবারকে পূর্নবাসন করার কথা। এসব ঘর বিনামূল্যে ভ’মিহীনদের মধ্যে বরাদ্দের নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বর তাপস মোহন্তের বিরুদ্ধে ঘর বরাদ্দে উৎকোচ গ্রহন সহ স্বাবলম্বীদের ঘর বরাদ্দের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভ’মিহীনরা অভিযোগে জানায় প্রতি ঘর বরাদ্দে মেম্বর ১০/ ১৫ হাজার করে টাকা নিয়েছ্ েএবং যারা টাকা দিয়েছে তারাই ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। শুক্রবার দুপুরে প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বরাদ্দ পাওয়া না পাওয়াদের জটলা। এসময় তারা অভিযোগ করেন তাপস মেম্বরকে যারা টাকা দিয়েছে শুধু তারাই ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। ভ’মিহীন, বৃদ্ধ, প্রতিবন্দি যাদের কোন সহায় সম্বল নেই তাদের ঘর বরাদ্দ না দিয়ে টাকা নিয়ে স্বাবলম্বীদের ঘর বরাদ্দ দেয়া হেেছ। যেমন চন্দন সরকার, আব্দুল জব্বার, জহুরুল ইসলাম, সুমন চন্দ্র, কালু চন্দ্র মোহন্ত, স্বাধীন চন্দ্র সরকার, মোঃ ওসমান গণি, আলাউদ্দিন, দুলু মিঞা, রমজান আলী, মোঃ এখলাছুর রহমান, সুজন মিঞা, হাফিজার রহমান, আয়তাজ আলী, আবু নাসের সরকার, সাধন সরকার, শাহজাহান আলী, অমূল্য চন্দ্র দাশ, শ্রীমতি চারুবালা সহ আরও অনেকের ঘরবাড়ি আছে এবং স্বাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে উক্ত আশ্রয়ন প্রকল্পে টাকার বিনিময়ে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে। অপরদিকে বরাদ্দ পাওয়া অনেক ভ’মিহীনদের তাড়িয়ে দিয়ে প্রভাবশালীরা তাদের ঘর দখল করে নিয়েছে। স্থানীয় দুই মহিলা অভিযোগ করে বলেন আমাদের ঘর বরাদ্দ দিয়ে ঘরের চাবি দেয়া হলেও আমাদের ঘর অন্যরা দখল করে নিয়েছে।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শান্তনু কুমার দেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘর বরাদ্দে টাকা গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন- কমিটির মাধ্যমে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে আমার করার কিছুই নেই।