বছরের শুরুটা ভীষণ হতাশাজনক ছিল বাংলাদেশের জন্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হতাশা কেবল বেড়েছেই। ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষেও হার মানতে হয় স্বাগতিকদের। সেই দুঃসময়কে পেছনে ফেলে শেষটা ভালো করার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সামনে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা সাড়ে বারোটায় শুরু হবে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে ১৩টি ওয়ানডে খেলে ১২টিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। তাদের অন্য ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। দলকে ছন্দে ফেরাতে টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভিন্ন অধিনায়ক বেছে নেয় তারা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে সেই পরিকল্পনা সফল। ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জেতে মুশফিকুর রহিমের দল। আর টানা চারটি ওয়ানডেতেও জিতেছে মাশরাফি বাহিনী।
ওয়ানডের অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলের ধারাবাহিক জয়ে খুশি। কিন্তু দলের খেলায় আরো ধারাবাহিকতা দেখতে চান তিনি।
“জয়ের দিক থেকে আমরা ধারাবাহিক। কিন্তু খেলায় ততটা নই। এটা অবশ্যই উন্নতির একটা ব্যাপার। আমরা এই ব্যাপারটায় পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছি। এই জায়গায় অবশ্যই উন্নতি করতে হবে।”
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ব্যবধান গড়ে দিচ্ছেন স্পিনাররা। তবে পেসারদের ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর দ্রুত তিন-চার উইকেট পতনের পরও ব্যাটম্যানদের লড়াই করার মানসিকতাকে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক মনে করেন মাশরাফি।
“প্রথম ম্যাচে ৩১ রানে ৩ উইকেট চলে যাওয়ার পর মুশফিক ও সাকিব ভালো ব্যাটিং করে। চতুর্থ ম্যাচে একই কাজ করে মুশফিক ও রিয়াদ। ব্যাটসম্যানদের ঠিক এই কাজটিই করতে হবে।”
প্রথম দুই ওয়ানডেতে একই দল খেলানোর পর থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বাংলাদেশ দল। আগের ম্যাচেই তিনটি পরিবর্তন হয় দলে, অভিষেক হয় লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেনের।
শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন হতে পারে বাংলাদেশ দলে। অভিষেক হতে পারে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও পেস অলরাউন্ডার সৌম্য সরকারের। একাদশের বাইরে থাকতে পারেন ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেন।
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৫-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। আবারো তার পুনরাবৃত্তির সুযোগ স্বাগতিকদের সামনে। সিরিজের সব ম্যাচ জিততে সর্বোচ্চ চেষ্টার প্রতিশ্রুতি দেন দলের অধিনায়ক।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে অতিথিদের সঙ্গে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্টের পার্থক্য বেড়ে দাঁড়াবে ২২। সিরিজ শুরুর আগে এই ব্যবধান ছিল ১১।
বাংলাদেশ সফরে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ না জেতা জিম্বাবুয়ে একটি জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে আছে। যে কোনো মূল্যে তারা একটি জয় চায় বলে জানিয়েছেন দলের ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।
published by ashiqur rahman swadeshnews24.com