আমিনুল কবির,কক্সবাজার প্রতিনিধি:এখনো ভাল করে জমে উঠেনি পর্যটন মৌসুম। ছুটির দিনেও কক্সবাজার শহরের পর্যটন স্পটগুলো খালি থাকে। মানসম্মত আবসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ থাকলেও এখনো তাদের চাহিদ অনুযায়ী কোন পর্যটকের সাড়া পায়নি। পি.এস.সি পরিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোতে বার্ষিক পরিক্ষা শুরু হওয়ায় ভরা মৌসুমেও পর্যটকের তেমন সাড়া নেই বলে জানালেন পর্যটন এলাকার ব্যবসায়িরা। নভেম্বরের শুরু থেকেই পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও এখনো পর্যটক শুন্যতা বিরাজ করছে। এমন কি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কোন পর্যটকের আগমন নাই। হোটেল মোটেল জোন এলাকার স্বপন বিলাস হলিডে সোইটের দায়ির্ত্বরত কর্মকর্তা মো:টুটুল জানিয়েছেন এই সিজনে আমরা যা আশা করছিলাম তার চেয়ে অনেক কম। এই সিজনে প্রায় ৭০/৮০ ভাগ রুম বুকিং থাকে সেখানে হচ্ছে মাত্র ২০/৩০ ভাগ। এখন পিস.এস,সি পরিক্ষার চলছে তাই একটু কম পরিক্ষার পরে কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা কিছু বাড়বে বলে মনে হয়।
মোটেল শৈবালের ব্যস্থাপনা পরিচালক জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ আকবর জাানিয়েছেন এই সময়ে যতটুকু হতাশ হওয়ার আশঙ্কা ছিল ততটুকু হতাশ হয়নি। ডিসেম্বরের মাঝামাঝা প্রচুর পর্যটক আসার সম্বাভনা আছে। কক্সবাজার শহরে প্রায় ২ লাখ পর্যটনের চাহিদা মেটানোর ব্যবস্থা আছে। মানসম্মত আবাসিক হোটেল ও খাবার হোটেলের কোন কম নেই।
হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানান,চাহিদার তুলনায় পযটক কম হলেও হতাশ হওয়ার মত নয়। পি.এস.সি পরিক্ষা ও বার্ষিক পরিক্ষার পর পর কিছু পর্যটক আসতে পারে। আমরা আশা করছি ১৬ ডিসেম্বর ও ইংরেজী নববর্ষকে কেন্দ্র করে বিপুল পর্যটক আসবে। হোটেল মোটে জোন এর আরেক ব্যবসায়ী গফুর আর্টের সত্বাধিকারী আব্দুল গফুর জানান এই সময়ে পর্যটক বিপুল পরিমানে কক্সবাজার শহর থাকে আলোকিত হোটেল মোটেল জোন এ আমরা পর্যটকের ভিড়ে হাটতে পারি না। সমুদ্র সৈকত থাকে ভরপূর। আর এখন পর্যটক শুন্য কক্সবাজার শহর। পর্যটকরা আসলে আমাদের ব্যবসা একটু ভাল হয় সংসারতা ভাল করে চালাতে পারি।
হোটেল মোটেল জোন এলাকার চা বিক্রেতা রাজিব জানান,এই সময়ে আমি চা বিক্রয় করতাম প্রায় ৮০/৯০ ভাগ এখন বিক্রয় হয় ৩০/৪০ ভাগ যা এলাকার লোকদেরকে বিক্রয় করা হয়। পর্যটক আসলে আমাদের একটু ভাল হয়। সংসারটা ভাল করে চালাতে পারি। ঢাকা থেকে আগত এক পর্যটক জানান দুই বছর আগে নভেম্বর মাসে আমরা ব্যাচেলর আসছিলাম তখন অনেক পর্যটক ছিল প্রচুর পরিমান আর এখন তার চেয়ে অনেক কম। ঐ সময়ে আমাদের রুম নিতে অনেক কষ্ট হইছে যে দিকে যাই সে দিকে রুম বুকিং দামও কম না। এইবার আসছি আমার স্ত্রীকে নিয়ে। অগ্রিম রুম বুকিং দিয়ে আসতে হইনি আসার সাথে সাথে রুম পাইছি তাও আবার খুবই কম দামে। এ দিকে কক্সবাজারের পর্যটন স্থান ঘুরে দেখা গেছে পর্যটক শুন্য পরিবেশ বিরাজ করছে পর্যটন স্পটগুলো। দরিয়ানগর ও হিমছড়ি ঝর্না অধিকাংশ সময় খালি থাকে। বিকেলের দিকে সমুদ্র সৈকতে কিছু লোক সমাগম থাকলেও তা আগের মত নয়। সী ইন পয়েন্ট মার্কেটের এক ব্যবসায়ি নাজির জানান,এই সিজনে দোকানে প্রতিদিন ২০/৩০ হাজার টাক বিক্রয় হত। এক সারাদিনে বিক্রয় হয় ১/২ হাজার টাকা এই টাকা দিয়ে কি সংসার চালাব না দোকান কর্মচারী চালাব। পর্যটক না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়িরাও হতাশ।