শোকাবহ অতীতকে পেছনে ফেলে মাঠে ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। সামনেই ভারতের সঙ্গে সিরিজ, প্রস্তুতিটা আদর্শ না হলেও ফিল হিউজকে অকালেই হারাবার শোককে শক্তিতে পরিণত করেই মাঠে নামতে চান ক্রিকেটাররা। তবে খানিকটা দুর্ভাবনা আছে অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে নিয়ে। চোটের কারণে প্রথম টেস্টে খেলা নিয়েই সংশয় ছিল তাঁর, ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল ক্লার্ক কতটা খেলার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তাই ক্লার্কের বিকল্প হিসেবে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শন মার্শ। আজ ফিটনেস টেস্টে ক্লার্ক উতরে যেতে না পারলে জিওফ মার্শের বড় ছেলেকেই হয়তো টেস্ট দলে দেখা যাবে আট মাস পর।
গতকাল সিডনি ক্রিকেট মাঠে দৌড় অনুশীলন করেছেন ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ এবং নির্বাচকদেরও একজন, ড্যারেন লেহম্যান গতকাল জানিয়েছেন, ব্যাট করার মতো অবস্থায় থাকলে ক্লার্কই খেলবেন। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বকাপের আগে তারা ক্লার্ককে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। অধিনায়ক নিজে যদি মনে করেন খেলতে পারবেন, তাহলেই তাঁকে মাঠে নামানো হবে প্রথম টেস্টে। লেহম্যানই জানিয়েছেন, ‘ব্যাট করতে পারলে আর দৌড়াতে পারলে ক্লার্কই খেলবে। সে দুপুরেই এখানে (অ্যাডিলেড) আসার বিমান ধরেছে। আসার পর ব্যাটিং দেখে বলা যাবে কী অবস্থা তার।’
হিউজের মৃত্যুর পর দুবাই টেস্টে একটিও বাউন্সার বল করেননি নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেটে বাউন্সার, নিরাপত্তা, হেলমেট এসব ব্যাপার নিয়েও। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার মার্ভ হিউজ মনে করেন, বাউন্সার থাকা উচিত এবং ‘বাউন্সার’ দিয়েই বাউন্সারকে নিরাপদ প্রমাণ করা দরকার, ‘ক্রিকেটে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বাউন্সার চলে আসছে, হিউজের মৃত্যু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনামাত্র। যত বেশি সময় বাউন্সার ছাড়া বোলাররা বল করে যাবেন, ততই বেশি এটা নিয়ে কথা হবে, লোকের মনে পড়বে। আমি তো মনে করি, গুমোট ভাবটা কাটানোর জন্য প্রতিটা ম্যাচের প্রথম বলটাই হওয়া উচিত বাউন্সার, যাতে মনে হয়, এইবার! খেলা তাহলে শুরু!’ তবে এত বছরের ইতিহাসে, প্রাণঘাতী বাউন্সার করা শন অ্যাবোট সহজে ভুলতে পারছেন না হিউজের মৃত্যু। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলা অ্যাবোট গতকাল থেকে শুরু হওয়া সিডনি গ্রেড ক্রিকেটের এই রাউন্ডের খেলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সিএ, এসএমএইচ, ক্রিকইনফো
post by ashiqur rahman swadeshnews24.com