বাড়িতে শৌচাগার না থাকায় বরপক্ষের লোকদের মাঠে গিয়ে শৌচকর্ম সারার পরমর্শ দিয়েছিলেন কনের বাবা। ব্যস! বিয়ের পিড়ি থেকে লাফিয়ে উঠে হবু শ্বশুরের গালে কষে চড় হাকালেন বর। বিয়ে তো ভেঙে গেলই, পুরো বিয়েবাড়ি জুড়ে শুরু হয়ে গেল হুলস্থুল কাণ্ড। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বারাণসীর কাছে মির্জাপুর জেলার ভটবরা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ওই গ্রামের এক মেয়ের বিয়ে ছিল। সন্ধ্যাবেলা যথারীতি বর আসে। সঙ্গে একপাল বরযাত্রী। যখন বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে, তখন বরপক্ষের তিন নারী কনের বাবাকে এসে জিজ্ঞাসা করেন, শৌচালয়টা কোনদিকে? বিষয়টা কনের বাবার কাছে বেশ অদ্ভুত ঠেকে বটে। যেন বেজায় রসিকতা করা হয়েছে, এমনভাবে মুখ করে কনের বাবা বলেন, “বাড়িতে শৌচালয় নেই। এখানে সবাই মাঠে গিয়ে কাজ সারে। তা আপনারাও চলে যান। রাত হয়ে গেছে। কেউ দেখতে পাবে না।”
বর ভাবে হবু শ্বশুরমশাই বুঝি বাড়ির নারীদের সঙ্গে অশ্লীল রসিকতা করছেন। বিষয়টা তার চোখে মোটেই ভাল লাগেনি। ক্ষেপে গিয়ে বর বাবাজি বিয়ের পিঁড়ে থেকে তড়াক করে লাফিয়ে উঠে শ্বশুরের গালে কষে এক চড় বসিয়ে দেন। আচমকা জামাইয়ের চড় খেয়ে বৃদ্ধের তখন অক্কা পাওয়ার দশা! বাবার নিগ্রহ সহ্য করতে না পেরে এবার কনে চিৎকার জুড়ে দেয়। গাঁয়ের লোকও সঙ্গে সঙ্গে লাঠিসোটা নিয়ে ছুটে আসে। বরের পাগড়ি খুলে তাকে ঘরে বন্ধ করে শেকল দিয়ে দেয়। কিছু উত্তম-মাধ্যমও পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ছুটে আসে গ্রামে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের মধ্যস্থতায় বিয়ে না করেই বরপক্ষ বাড়ি যায়। পণ হিসাবে নেওয়া এক লক্ষ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ফেরত দিতে হয় মেয়ে পক্ষকে।
post by Usman gony