কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাছ থেকে জামায়াত যে সুবিধা পেয়েছে, বিএনপির কিছু কিছু নেতাকর্মী ও জাতীয় পাটি যে সুবিধা পেয়েছে আমি ১৬ বছর আওয়ামী লীগ করেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রতিবাদ করেও সে সুবিধা পাইনি।
আজ রবিবার সন্ধায় টাঙ্গাইলের নিজ বাস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা সঠিক সংবাদ পরিবেশন করলেই আমি নিজেকে এদেশের প্রকৃত নাগরিক মনে করবো। তিনি বলেন, আমার ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্ত আমাকে আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখেন না। কারণ আমি নিজেই আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে নিজেই দল গঠন করেছি।
তিনি বলেন, সরকারী কুমুদিনী মহিলা কলেজের সাথে সম্পত্তি নিয়ে আমার কোন বিরোধ নেই। আমার সত্ত্ব দখলীয় ভূমিতে কাজ করতে গিয়ে আজ আমি বাঁধার সম্মুখিন হয়েছি। টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা মৌজায় কালি দাস রায় তার সম্পত্তি ১০৫নং দাগের ১০ শতাংশ ভূমি ১৯৭২ সনের এপ্রিল মাসের ২৬ তারিখ জনৈক ফজলুর রহমান খানের নিকট বিক্রি করেন। ক্রয়সুত্রে মালিক ফজলুর রহমান খান নিজ নাম জারি করে খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছেন। বাকী ভুমি কালিদাস চন্দ্র রায় পৃথক পাচটি দলিলের তার মাতা দুই বোন ও এক ভাইয়ের নামে ৭৫৭৭, ৭৫৭৮, ৭৫৭৯, ৭৫৮০, এবং ৭৫৮১নং রেজিট্রি দলিল মুলে ১৩৭ শতাংশ জমি সাব কওলা বিক্রয় করেন। আমি ক্ষয়সুত্রে এই ভূমি দলিল মুলে দখলপ্রাপ্ত হয়ে ভোগ দখলে আছি।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সনে কলেজের পক্ষে বিজয়া খান টাঙ্গাইল সদর মুনসেফ আদালতে ৫/১০/১৯৭২ তারিখে টাইটেল স্যুট নং ১১০/১৯৭২ যা (পরবর্তীতে ৮৯/১৯৯২ অন্য প্রকার) মোকদ্দমা দায়ের করেন। শ্রী মতি বিজয়া খান তার দায়ের করা মোকদ্দমায় সিএস ১৪৩ দাগের সম্পূন্ন জমি ১৫ শতাংশ এবং মোকদ্দমার দাবির বিষয়ে যোগিনী কান্ত ভট্রাচার্যকে মালিক হিসেবে আর্জিতে উল্লেখ করে কলেজে যাতাযাতের জন্য গেটের সামনের জমি অন্যত্র বিক্রয় করায় মহিলা কলেজের ছাত্রীদের যাতাযাতের পথ রুদ্ধ হবে দাবিতে মোকদ্দমা করেন। পরবর্তীতে ১৯৯২ সনে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত থেকে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। শ্রী মতি বিজয়া খান বা কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন প্রতিকার চায়নি বা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সহকারী কমিশনার ভুমি টাঙ্গাইলের বরাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ২০০৩ সালে ৯০ দাগের ৩২ শতাংশ পুকুর ভরাট সমাপ্তকালে বাঁধা প্রদান করেন। উক্ত নোটিশের পর ভরাট কাজ অসমাপ্ত রেখে অস্থায়ী ঘর ও স্থাপনা সীমানা চিহিৃত করে ভোগ দখল করে আসছিলাম। বর্তমানে দেশে অর্পিত সম্পত্তির মধ্যে ’খ‘ তফসিলভুক্ত সকল ভূমি সরকার অর্পিত নয় বলে ঘোষণা দেয়ায় এবং গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর আমি আমার প্রতিনিধির মাধ্যমে রেকডিও মালিকের নামে খাজনা পরিশোধ করে নাম জারির জন্য দরখাস্ত করি। গত ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে আমি ভরাটকৃত ভূমিতে কাজ করার সময় টাঙ্গাইল সদর সহকারী কমিশনার ভূমি জেলা প্রশাসকের বরাতে বেআইনী বাঁধাদান এবং মৌখিকভাবে কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন।
তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বলেন, যা সরকার ঘোষিত অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তির আদেশের বর খেলাপ আইন ও নীতির পরিপন্থি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
post by Usman gony