সম্প্রতি নিজেকে নিয়ে কিছুটা দম্ভই প্রকাশ করেছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া বলিউডের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তাঁর মতে, তিনি সাধারণ কোনো তারকা নন। তিনি কোনো পথ অনুসরণ করেন না, নিজেই পথ সৃষ্টি করেন।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জয় করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ২০০৩ সালে ‘দ্য হিরো: লাভ স্টোরি অব এ স্পাই’ ছবির মাধ্যমে বলিউড অভিষেকের পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি গায়িকা হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছেন। সম্প্রতি মাধুর ভান্ডারকারের ম্যাডামজি ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে পেশাজীবনে তাঁর সাফল্যের পাল্লা বেশ ভারীই বলতে হয়। মাত্র ৩২ বছর বয়সে এত এত সাফল্য পেয়ে একটু অহংকারী হলে তাঁকে নিশ্চয়ই দোষ দেওয়া যায় না।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি সাধারণ কোনো তারকা নই। আমি যা–ই করি না কেন, তা এক কথায় অনন্য। আর দশজন সাধারণ তারকার মতো মানুষ আমাকে দেখুক, তা আমি চাই না। বিষয়টিকে আমি রীতিমতো ঘৃণা করি। আমার ব্যক্তিত্ব একেবারেই আলাদা। মন যা চায়, তা–ই করি আমি। ফলাফল ভালো না মন্দ হবে, তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাই না। এখন পর্যন্ত আমি যা কিছু করেছি, তা অনন্য বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে। আমি কোনো পথ অনুসরণ করি না, নিজেই পথ সৃষ্টি করি।’ এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ইন্দো-এশিয়ান নিউজ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি কখনোই জানতাম না একদিন আমি অভিনয়শিল্পী, গায়িকা কিংবা প্রযোজক হব। ধীরে ধীরে আমি আমি বিকশিত হয়েছি আর আপনা-আপনিই এসব ঘটে গেছে। তাই আমি বলতে পারি না, কখন আমি কী করব।’
২০১৪ সালটা দারুণ কেটেছে বলেও জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘সত্যিই দারুণ একটা বছর কেটেছ। ‘গুন্ডে ছবি দিয়ে বছর শুরু করেছিলাম। এরপর মুক্তি পায় মেরি কম। নারীকেন্দ্রিক ছবি হয়েও মেরি কম যে ব্যবসা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ছবিটি যে পরিমাণ আয় করেছে, তা সবচেয়ে বড় জয়। নারীকেন্দ্রিক ছবিগুলো সাধারণত দুই মাসে ৫০ থেকে ৬০ কোটি রুপি আয় করে। সেখানে মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই মেরি কম ছবির আয়ের পরিমাণ ২৭ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যায়। নিঃসন্দেহে নারীকেন্দ্রিক ছবির ক্ষেত্রে মেরি কম বিশাল একটি পদক্ষেপ।’
প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, ‘এখনো পুরুষশাসিত সমাজে আমাদের বসবাস। তবে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। ফ্যাশন ছবিটি করার সময় সবাই ভেবেছিল আমি বোধ হয় পাগল। কিন্তু ছবিটির মাধ্যমে প্রমাণিত হয় গুণগত মান ভালো হলে নারীকেন্দ্রিক ছবিও ভালো ব্যবসা করতে পারে। এখনই হয়তো ২০০ কিংবা ৩০০ কোটি রুপি আয় করতে পারবে না এ ধরনের ছবি। কিন্তু প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। একদিন অবশ্যই আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। এখনো অভিনেত্রীরা জনপ্রিয় কোনো অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করে ছবির সাফল্য ভাগাভাগি করে নেওয়াটাকে সহজ বলে মনে করেন। কিন্তু আমার প্রত্যাশা, পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ছবির সাফল্য-ব্যর্থতার পুরো দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিতে ভয় পাবেন না।
Collected
Post by : Shishir Azim Akash