ব্রিটিশ মহাকাশ সংস্থা রিঅ্যাকশন ইঞ্জিনস লিমিটেড নতুন প্রযুক্তির একটি বিমান তৈরি করছে। তাদের দাবি, বিমানটি যাত্রী নিয়ে বিশ্বের যে কোনো স্থানে মাত্র চার ঘন্টায় যেতে সক্ষম হবে।
রিঅ্যাকশন ইঞ্জিনসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ সক্ষমতা অর্জনের জন্য বিমানটিতে কেবলমাত্র একটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর সেটি হলো- একটি প্রি-কুলার বা প্রাক শীতলকারক যন্ত্র।
কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী অ্যালেন বন্ড জানান, নতুন ‘স্যাবর’ ইঞ্জিন সিস্টেমে বাতাস ভর্তি করে .০১ সেকেন্ডে ১,০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসেরও বেশি ঠাণ্ডা করা সম্ভব। এর ফলে একটি জেট ইঞ্জিন বর্তমানে যে ক্ষমতা নিয়ে চালু হয় তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতা নিয়ে চলতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, আর অধিক ক্ষমতা থেকেই সৃষ্টি হয় উচ্চগতি। সহজে ও সুন্দরভাবে এটি শব্দের গতির চেয়ে ৫ গুণ গতিতে উড়তে সক্ষম হবে।
যুগান্তকারী এই প্রযুক্তি হলো- কুলিং সিস্টেম। এ প্রযুক্তিটিতে সুবিন্যস্তভাবে কতগুলো পাতলা পাইপ একটি ঘূর্ণায়মান প্যাটার্নের মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে এবং ঘনীভূত হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে পূর্ণ করা হয়েছে।
মূল ইঞ্জিনে প্রবেশ করানোর আগেই এটি প্রস্তুত করা হয়। এর মাধ্যমে বাতাস থেকে তাপ শোষণ করে বের করে দিয়ে এটিকে মাইনাস ১৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ঠাণ্ডা রাখা হয়।
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এটি বাতাসকে হিমায়িত করে আর্দ্রতার সৃষ্টি করে এবং ইঞ্জিনে তুষারের আবরণ ফেলে। তবে এর প্রস্তুতকারক কোম্পানি এই আর্দ্রতা রোধ করারও পদ্ধতি যুক্ত করেছে এতে।
সংস্থাটি আশা করছে, তাদের এই শীতল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত বিমানে ৩০০ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে এবং বিমানটি রকেটের গতিতে চলতে সক্ষম হবে।
বন্ড বলেন, ‘এটি দ্রুত গতির বিমানে রূপান্তরিত হবে। আমাদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এ ব্যাপারে আমরা একক ও অনন্য।
২৭৬ ফুট দীর্ঘ বিমানটি ‘স্কাইলন’ নামে পরিচিত হবে। এতে কোনো জানালা নেই। এটি আনুভূমিকভাবে উঠানামা করবে।
প্রতিটি স্কাইলন বিমানের মূল্য ১১০ কোটি ডলার।
সংস্থাটি বর্তমানে তাদের এই শীতল প্রযুক্তির নানাবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে স্কাইলনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
Posted by Ab Emon