জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি সরকারি কর্মকর্তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের কারণ জানতে চেয়েছে।
গতকাল বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে ৪০ বছর পর কেন মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার কারণ জানতে চেয়েছে ওই কমিটি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বৈঠকে তাদের ডাকা হবে।
কমিটি বলেছে, ৪০ বছর পর চাকরির শেষ সময়ে এসে এই সনদ বাতিল করে তাদের মর্যাদাহানি করা হয়েছে। কমিটির সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “কিভাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণ করা হচ্ছে, এটা কমিটি জানতে চায়। কারণ যাচাই-বাছাই করলে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন। আর মুক্তিযোদ্ধার সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই। এসব বিষয়গুলো নিয়ে কমিটি সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে আলোচনায় আগ্রহী।”
উল্লেখ্য, জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়ার বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে ধরা পড়ার পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত সেপ্টেম্বরে তিন সচিব ও এক যুগ্মসচিবের মুক্তিযুদ্ধে সনদের গেজেট বাতিল করে।
সনদ বাতিল করা ব্যক্তিরা হলেন-স্বাস্থ্য সচিব নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব এ কে এম আমির হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী এবং যুগ্ম-সচিব আবুল কাসেম তালুকদার।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের (বর্তমানে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় বেসরকারিকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান) মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট স্থগিত করা হয়। এরপর এদের কাউকে অবসরে এবং কারও চাকরি ছাড়ার মধ্যে প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের আরও ১৬ জন কর্মকর্তার সনদ জালিয়াতির খবর গণমাধ্যমে এসেছে।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়া সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ঘোষণার মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলল।
post by Usman gony