সরকারের পক্ষ থেকে ১৬০টি দেশে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি হয় বলে দাবি করা হলেও, গত দু বছর ধরে প্রধানত ৪/৫ টি দেশেই সীমিত রয়েছে জনশক্তি রপ্তানি।
নতুন বাজার সৃষ্টিতে সরকারি উদ্যোগ নেই অভিযোগ করে শ্রমবাজার সম্প্রসারণে তৎপর হওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘ দিনে অব্যবস্থাপনা দূর করে জনশক্তি রপ্তানিতে গতিশীলতা আনা কঠিন বলে মন্তব্য প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর।
সরকারী খাতাপত্রে আছে, ১৬০টির মত দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে বাংলাদেশ। তবে বাস্তবে এখন প্রধানত ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরের মধ্যেই আটকে আছে জনশক্তি রপ্তানি। জর্ডান ও লেবাননে নারী কর্মী যাওয়ায় ঘুরেফিরে ৪ থেকে ৫টি দেশেই সীমাবদ্ধ বাংলাদেশের শ্রমবাজার।
বাংলাদেশের একসময়ের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে ৯ বছর ধরে এবং আরব আমিরাতে ২ বছর, ও কুয়েতে ৮ বছর ধরে কর্মী নেয়া বন্ধ রয়েছে। এছাড়া, অনেক দেশে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা নামমাত্র। নতুন বাজার সৃষ্টির উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ জনশক্তি রপ্তানিকারকদের।
বায়রার সদস্য মো. গিয়াসউদ্দিন বাবুল বলেন, ‘আমাদের কাজের সুযোগ কোথায় আছে তা খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু আমাদের মন্ত্রণালয় বা দূতাবাসের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না।’
বায়রার সভাপতি মো. আবুল বাশার বলেন, ‘নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হলে সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কিন্তু তারা জনশক্তির নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে কোন কাজ করে বলে আমাদের মনে হয় না।’
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোর শ্রম শাখাকে তৎপর হওয়ার পাশাপাশি এসব জায়গায় দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘জনশক্তির নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হলে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির দিকেও মনযোগী হতে হবে।’
তবে জনশক্তি রপ্তানি খাতের বর্তমান স্থবিরতাকে বিগত শাসনামলগুলোর অব্যবস্থাপনার ফল বলে বর্ণনা করলেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি এর থেকে বেরিয়ে আসতে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও জানান।
তবে, আগামী বছরের শুরুতে দু’একটি দেশের বন্ধ শ্রমবাজার উন্মুক্ত হতে পারে বলে আশা করছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।