রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে গ্যাসের সংকট। এর ফলে রান্নাবান্নাসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন এসব এলাকার বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বাড়ছে এই সংকট। তবে তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বেড়েছে গ্যাসের সংকট এবং তা নিরসনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
রাজধানীর লালবাগ, রায়েরবাগ, চকবাজার ও যাত্রাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ি ঘুরে দেখা যায়, অনেকে কাঠ খড়ি দিয়ে মাটির চুলায় রান্না করছেন, অনেকে বাড়তি টাকা ব্যয় করে ব্যবহার করছেন কেরোসিনের স্টোভ। অনেকে আবার গ্যাসের জন্য অপেক্ষায় না থেকে খাচ্ছেন বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার। এর ফলে নানা সমস্যায় পড়ছেন বলে জানান বাসিন্দারা।
ভুক্তভোগীরা জানালেন, সকাল ৭টার মধ্যেই গ্যাস চলে যায়, আসে দুপুর ২টায়। প্রতি শীতেই এমনটি হয়।
তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছরের মত এবারও রাজধানীতে দেখা দিয়েছে গ্যাসের সংকট। এই সংকট নিরসনে ইতিমধ্যে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মীর মসিউর রহমান বলেন, ‘শীতে মানুষ রুম হিটার-ওয়াটার হিটার হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করছে ফলে চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে একটু সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু তা দ্রুতই কেটে যাবে। আমরা স্টেশনগুলো সব সার্ভিসিং করিয়েছি।’
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস সংকট নিরসনে সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘একদিকে চাহিদাটিকে কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে, অন্যদিকে যোগানটাও এই দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য স্বাভাবিক হচ্ছেনা। ফলে বেশ কিছু এলাকায় মাঝে মাঝেই বৈধ লাইন থাকা সত্ত্বেও এবং নিয়মিত বিল দেয়ার পরও তাদের গ্যাস সরবরাহ থাকছে না।’
জানুয়ারি থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই অবস্থায় দাম না বাড়িয়ে প্রভাবশালীদের নেয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।