সরকারি কর্মচারিদের বেতন বাড়ানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও অর্থমন্ত্রীর মূল্যস্ফীতি না বাড়ার আশ্বাস নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
বিআইডিএসএর গবেষক ড. নাজনীন আহমদের মতে, নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের আগে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নিত্যপণ্য ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করা উচিত। তা না হলে পণ্যের মূল্য বেড়ে যেতে পারে আর তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
অন্যদিকে, পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরের মতে আপাতত মূল্যস্ফীতি বাড়ার কোন আশঙ্কা নেই। কারণ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি আছেন ১৩ লাখ। আর বেসরকারি খাতে আছে অনেক বেশি। ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে বড় ধরণের প্রভাব ফেলার ক্ষমতা এখনো রাখেনা এই বেতন বৃদ্ধি।
অপরদিকে, প্রস্তাবিত নতুন বেতন কাঠামোকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। দুর্মূল্যের বাজারে এ ধরণের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত যুগোপযোগী মন্তব্য করে যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি জানালেন, এ বেতন কাঠামো অত্যন্ত সময়োপযোগী। এর ফলে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ মেটানো কিছুটা সহজ হবে। ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রচলিত বেতন কাঠামোয় কোনোমতেই পেরে ওঠছিলেন না সরকারি চাকুরিজীবীরা।
তবে, সর্বনিম্ন বেতন আরও বাড়ানোর দাবি জানান কর্মচারিরা। তারা বলেন, ‘বাজারে ১ কেজি মসুর ডাল একজন সচিব যে দামে কিনবেন, একজন পিয়নকেও সে দামে কিনতে হবে।’ তাই আনুপাতিক হারে সর্বনিম্ন বেতন আরও বাড়ানোর দাবি জানান তারা।