হংকংয়ের বিভিন্ন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এবার সরকারি তত্ত্বাবধানে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নারী হাউস-কিপার নেয়ায় জনশক্তি রপ্তানির বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ের পর প্রশিক্ষণ দিয়ে নারী কর্মী নেয়া শুরু করেছে হংকংয়ের এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সিসহ এয়াবিয়াসহ ৪টি বেশ প্রতিষ্ঠান। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৮১০ জন নারী হাউস কিপিংয়ের চাকুরি নিয়ে হংকং গেছেন।
জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের হিসাবে চলতি বছর এ পর্যন্ত প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী চাকুরি নিয়ে বিদেশ গেলেও নারী কর্মী গেছেন ৭১ হাজার ৬৭০ জন। এর মধ্যে জর্ডান এবং লেবাননে নারী গৃহকর্মী গেছেন সবচেয়ে বেশি। তবে সেখানে গৃহকর্মীরা সবোর্চ্চ ১৫ হাজার টাকা বেতন পেলেও প্রায় তিন গুণ বেশি বেতনে বাংলাদেশ থেকে হাউস-কিপার নিচ্ছে হংকং। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কর্মকর্তারা জানান, হংকংয়ের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারী তত্ত্বাবধানে সরাসরি নারী কর্মী নেয়ায় দেশটিতে বাংলাদেশী নারীদের জন্য বড় শ্রম বাজার তৈরি হয়েছে।
জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থানের সহকারী পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, ‘হংকংয়ে আমাদের বিশাল একটি বাজার রয়েছে। আশা করি অতি শীঘ্রই আরো ভালভাবে এই বাজার আমরা ধরতে পারব। হংকংয়ের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি এসে কর্মী নির্বাচন করছে।’
দেশ থেকে চলতি বছর ৮১০ জন নারী হাউস কিপিংয়ের চাকুরি নিয়ে হংকংয়ে গেছেন। এ ক্ষেত্রে বিমান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ হিসাবে দিচ্ছে সরকার।
জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থানের সহকারী পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, ‘সরকার তাদেরকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে অভিবাসন ব্যয়সহ সকল প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে। আর হংকংয়ে তাদের ন্যূনতম বেতন ওই দেশের শ্রম আইন অনুসারে ৫১৫ মার্কিন ডলার।’
চট্টগ্রাম থেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত নারীরা জানান, সরকারীভাবে গেলে নিরাপদ ও খরচ কম হওয়ায় এই সুযোগ লুফে নিয়েছেন তারা।
হংকংয়ে প্রায় এক লাখ নারী হাউস-কিপার ও কেয়ার গিভারের চাহিদা আছে। এক্ষেত্রে নারী কর্মীরা সে দেশের নাগরিকদের মতো সব ধরনের সুযোগ সুবিধা, ছুটি ও বোনাস পাবেন।