শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪,বাংলাদেশ টেলিভিশন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টেলিভিশন। এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে দিশারীর ভূমিকা পালন করেছে।বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সিলেট উপকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘টেলিভিশন হচ্ছে শিক্ষা ও বিনোদনের মাধ্যম। দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে বিশেষ অবদান রাখছে। ক্রমাগত প্রযুক্তির বিকাশে মানুষের সাথে যোগাযোগ সহজ থেকে সহজতর করে দিয়েছে। এটা দেশ ও মানুষের জন্য মঙ্গলজনক।’
বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি আজিজ আহমদ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ প্রমুখ।
বিকেলে মন্ত্রী সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে জামেয়া ক্বাসিমূল উলূম দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহ.) মাদরাসার ৩ দিন ব্যাপি ৪০ সালা দস্তাবন্দী মহাসম্মেলন উদ্বোধন করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামে মূলনীতি হচ্ছে শিক্ষাগ্রহণ করা। কারণ, কোরআনের প্রথম যে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে সেখানে জ্ঞানার্জনের কথা বলা হয়েছে। জন্ম থেকে মুত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষা গ্রহণ ও তার আদর্শ কাজে লাগাতে হবে। অর্থাৎ, ইসলামে শিক্ষার ব্যাপকতা রয়েছে।’
বর্তমান সরকার যেনো সৎভাবে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে সেজন্য তিনি উপস্থিত আলেমদের কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আমাদের সরকারের জন্য দোয়া করবেন যেনো মানুষের জন্য সেবা করতে পারি।’ তিনি দেশের মঙ্গলের জন্যও দোয়া কামনা করেন।
বেলা ২টায় শুরু হওয়া এই সম্মেলনে প্রথম দিনের প্রথম অধিবেশনে আরো বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য থেকে আসা মাওলানা আব্দুল মুন্তাকিম। দরগাহ মাদরাসার মুহাদ্দিস ও সম্মেলন আহ্বায়ক কমিটির পৃষ্ঠপোষক মাওলানা মুহিব্বুল হকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়া।
উল্লেখ্য, তিনদিনব্যাপি এই সম্মেলনে বিগত ৪০ বছরে জামেয়া ক্বাসিমুল উলূম দরগাহ মাদরাসার থেকে কৃতকার্য প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে পাগড়ী প্রদান করা হবে। দস্তারবন্দি মহাসম্মেলনে সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রখ্যাত আলেমরা অংশগ্রহণ করবেন।