স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বলেন, কয়েক ঘণ্টা আগে উদ্ধারকর্মীরা ওপর থেকে কয়েক বার চিৎকার করে ডেকে জিহাদের সাড়া পেয়েছেন। দড়িতে বেঁধে তার জন্য দুধের বোতল পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গর্তে পাঠানো হচ্ছে অক্সিজেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে আলোর ব্যবস্থা করেছেন। ভেতরে একটি ক্যামেরা পাঠানোরও চেষ্টা চলেছে।
শিশুটির বাবা নাসিরউদ্দিন মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নৈশ প্রহরী। ওই কলোনির ৪১ নম্বর বিল্ডিংয়ে তাদের বাসা।
তিন ভাই বোনের মধ্যে জিহাদ সবার ছোট। তার বড় ভাই জিসান ও স্বর্ণা। তাদের বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যায়। বলেন, শিশুটি জীবিত উদ্ধার হলে তার সুচিকিৎসার জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একদল চিকিৎসককে ঘটনাস্থলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে শাহজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনি মাঠে খেলতে খেলতে পাশের ওই পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের ভেতরে পড়ে যায় চার বছর বয়সী শিশু জিহাদ।
রাত ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৯ ঘণ্টার রূদ্ধশ্বাস অভিযানে নানাভাবে চেষ্টা করেও শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মেজর শাকিল নেওয়াজ জানান, এর আগে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পাঁচবার বিভিন্ন কায়দায় দড়ি ফেলেও ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপ থেকে শিশুটিকে তোলা যায়নি। এর পর ওই পাইপের ভেতরে থাকা আরেকটি গভীর চিকন লোহার পাইপ কেটে কেটে ক্রেইন দিয়ে তুলে ভেতরে জায়গা করা হয়েছে।