এক সময় যে কমলাকে বলা হতো বিদেশী ফল সেই কমলাই এখন চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন দেশের চাষিরা। পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে উন্নতমানের কমলা। অনেকে নিজেদের বাসাতেও গড়ে তুলেছেন কমলার বাগান।
থোকা থোকা ধরে থাকা কমলা এখন পঞ্চগড়ের খুব চেনা দৃশ্য। বাজার চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে কমলা। এসব বাগানে উৎপাদিত কমলার রং, আকার ও স্বাদ ভারতের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার কমলার মতোই বলে জানান চাষিরা। ২০০৭ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কমলা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
এ প্রকল্পের আওতায় জেলায় ১৫ হাজার চাষিকে কমলা চাষে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় কমলার চারা। সেই চারা এখন বড় হয়ে ভরে গেছে রসালো কমলায়। আর কমলা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
চাষিরা জানান, এসব গাছে তিন বছরের মধ্যে ২৫০ থেকে ৩০০ কমলা হয়। যা অনেক সুস্বাদু ও মিষ্টি হয়। বাগানে লাগানো কমলার চারা ২ বছরের মধ্যে ফল দেয়া শুরু করে।
জেলার কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানালেন, কমলা চাষে চাষিদের সব ধরণের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক স ম আশরাফ আলী বলেন, ‘কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের কমলা চাষে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আগামীতে কমলা চাষের প্রচলন বাড়াতেও কাজ করে যাব।’
চলতি বছর পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ৭৩ হেক্টর জমিতে কমলা চাষ করা হয়েছে। এসব বাগান থেকে উৎপাদন হয়েছে ১৯৫ মেট্রিক টন কমলা।