ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর থার্টি ফার্স্ট নাইটে এবারো চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে জনসমাগম হতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে রাত ৮টার পর কাউকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা।
আর রাত ৯টার মধ্যে সবাইকে সৈকত এলাকা ত্যাগ করতে হবে। তবে তারকা হোটেলগুলোতে নববর্ষ উদযাপনের নানা আয়োজন থাকলেও সেখানে থাকবে পুলিশের কড়া নজরদারী।
বিশাল খোলা প্রান্তর হিসেবে চট্টগ্রামে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হয়ে ওঠে সব উৎসবের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। যে কোনো সার্বজনীন উৎসবে এখানে লাখো লোকের ভিড় জমে। অন্যান্য উৎসবের মতো এক দশক আগেও ইংরেজি বর্ষ বিদায় এবং নববর্ষকে বরণ করার জন্য এখানে চলতো নানা আয়োজন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাঁধন নামে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানির পর থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতেও এক ধরণের অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারী করে প্রশাসন। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছেনা।
সিএমপির কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, ‘জনসাধারণকে আমি অনুরোধ করবো আপনারা রাত ৮-৯টা পর্যন্ত ওখানে থাকতে পারবেন, তারপর আর কাউকে সেখানে থাকতে দেয়া হবে না। রাতে যাতে ওইসব এলাকায় কোন প্রকার দুর্ঘটনা না ঘটে, তাই আমরা এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই, আমরা এইসব জায়গায় কোন সমাবেশ হতে দিবোনা।’
রাত ৯টার পর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় লোক সমাগম বন্ধ রাখা হলেও জমজমাট থাকবে নগরীর তারকা হোটেলগুলোতে। নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার জন্য নানা ধরণের প্রস্তুতিও নিয়েছে তারা।
আগ্রাবাদ হোটেলের সিনিয়র ম্যানেজার মোহাম্মদ ইফতেখার সাইফ বলেন, ‘সরাসরি গানের অনুষ্ঠান থাকবে। এছাড়া, বর্ষবরণকে মাথায় রেখে আমরা রাত ১২ টা ১ মিনিটে আতশবাজির ব্যবস্থা করেছি।’
দি পেনিনসুলা চিটাগাং এর ম্যানেজার আফরা ইলহাম বিনীতা বলেন, ‘আমাদের বিশেষ আকর্ষণ থাকবে একটি র্যাফেল ড্র, পুরষ্কার হিসেবে থাকছে চট্টগ্রাম-কায়রো টিকেট। এছাড়া নতুন বছর আগমন উপলক্ষে আমাদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।’
সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল জানালেন, শুধু পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত নয়। নগরীর যে সব স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজন করা হবে, সেখানেও থাকবে পুলিশের সতর্কতা।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এবার নগরীর অধিকাংশ আবাসিক হোটেলেই থাকবে নববর্ষের আয়োজন। এছাড়া আরো অন্তত শতাধিক ক্লাব কিংবা সংগঠনের পক্ষ থেকেও একই ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।