বলিউডের এই তারকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নিয়ে যত আলোচনা সমালোচনা হয়েছে আর কোনো তারকাকে নিয়ে হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বরাবরই ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক রূপসী নারীর আগমন, পরিবারের প্রতি একাত্মতা, কখনই বিয়ের বন্ধনে না বাঁধা, বদমেজাজ, সমাজ কল্যাণমূলক কাজ এসব নিয়ে কম বিতর্কের সম্মুখীন হননি বলিউডের এই দাবাং হিরো। কিন্তু কখনও কি এই তারকার একেবারে মনের গহীনে প্রবেশ করতে পেরেছেন বা কখনও কি ভেবে দেখেছেন জলের মতো স্বচ্ছ এই তারকার জীবনেও থাকতে পারে অজানা কোনো অধ্যায়।
কথা হচ্ছে ৪৯ বছর বয়সী সুদর্শন হিরো সালমান খানকে নিয়ে। সালমানকে ঘিরে ভক্ত এবং মিডিয়ার কৌতূহলের যেন শেষ নেই। আর সালমান খান প্রসঙ্গ এলেই আপনার মাথায় মাথায় প্রথম যে প্রশ্নগুলো কড়া নাড়বে তা হল, ৪৯ বছর বয়সেও কেন এই তারকা একা? জীবনে কম রূপসী নারীর আগমন ঘটেনি কিন্তু তারপরেও সালমান কেন বিয়েকে এড়িয়ে চলেন? কেনই বা ভাইবোনের সন্তানদের মাঝেই আনন্দ খুঁজে বেড়ান? এসব প্রশ্ন মাথায় এলেই সালমানের চরিত্র এবং একরোখা স্বভাবের দোহাই তুলে সবাই চুপ করে যান।কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল কেউ এসবের পেছনের লুক্কায়িত আসল সালমানকে কখনই দেখতে বা বুঝতে পারেননি। খুব কাছের আত্মীয়স্বজন ছাড়া সালমানের এই অজানা অধ্যায়ে কেউ কখনো অবগাহন করতে পারেননি। সেই ব্যাপারেই সম্প্রতি মুখ খুলেন সালমান খান।
অর্ধশত বয়সে পা দিতে চলা সালমান চান না তার ভক্তরা আর ভুল কোনো তথ্য জানুক। এবং তার ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিক। এসব মাথায় রেখেই কিছু দিন আগে সালমান খান আপ কি আদালত নামের একটি জনপ্রিয় টক শোতে হাজির হন সেখানেই জীবনের এই অজানা অধ্যায় তুলে ধরেন।
কী, নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে সেই অজানা অধ্যায় সম্পর্কে? তবে একটু শুরু থেকেই শুরু করা যাক। ২০০৬ সালে গুজরাটের বিরল প্রজাতির হরিণ চিংকারা শিকার করার অপরাধে এক বছরের জন্য জেল খাটেন। একজন তারকার জন্য এক বছরের জেল কম কষ্টকর নয়। এরপরেও আবার ২০১২ সালে ব্ল্যাক বাগ শিকারের অপরাধে আদালত ৫ বছরের জেলের সাজা শোনায় যদিও সালমানের পক্ষ থেকে এখনও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে। একসময় বলেন, এই একটি বছর আমি নিজেকে যে কীভাবে শাস্তি দিয়েছি তা বলে বোঝাতে পারব না। জেলে একাকী জীবন আর জেল থেকে ছাড়া পাবার পর আবারও ২৬/১১ অ্যাটাকের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় আমি কী করে আমার সাথে আরেকজনের জীবন জড়াতে পারি বলুন।
তবে এসব কমবেশী সকলেই জানলেও সালমান এরপর যা জানালেন তাতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের বাকরুদ্ধকর অবস্থা। সালমান যা জানালেন তাতে সালমানের প্রতি সকলের দৃষ্টিভঙ্গি এক নিমেষেই পরিবর্তন হয়ে যাবার মতো অবস্থা। তবে শুনুন, সালমান খান Trigeminal Neuralgia রোগে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির চোয়াল থেকে ক্রমশ অসহনীয় ব্যথা ব্রেইনে পৌঁছাতে থাকে। সালমান বলেন, এই ব্যথা যখন শুরু হয় তখন মনে হয় কেউ তার গালে ড্রিল মেশিন দিয়ে ফুটো করে দিচ্ছে।
ইউকের এক গবেষণায় বেড়িয়ে আসে পৃথিবীতে প্রতি ১ লাখে খুব বেশী করে হলেও ২৭ জন এই রোগে আক্রান্ত হন। আর এই রোগ সাধারণত ৫০ ঊর্ধ্ব বয়সে হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এতই ব্যথা অনুভব করেন যে বেশির ভাগ রোগী ব্যথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।
কিন্তু গতও ৭ বছর ধরে এই অসহনীয় ব্যথার সাথে লড়ে যাচ্ছেন সালমান। যদিও গবেষণায় থেকে বেরিয়ে আসা বয়সের আগেই এই তিনি এই রোগে আক্রান্ত হন। কাজেই এমন রোগে যিনি আক্রান্ত তিনি চাইলেও কি নিজের সাথে কাউকে জড়াতে পারেন বলুন? এভাবেই পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে মারেন উপস্থাপকের দিকে। উপস্থাপক নিজেও হতবাক দৃষ্টিতে সালমানের সব কথাই যেন শুনে যাচ্ছিলেন। কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
Post by : Shishir Azim Akash