জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরে অবস্থান করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুর ইসলাম আলমগীর রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েছেন বলে জানান গেছে।
সোমবার (০৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাতের খাবার শেষ করেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবেই তিনি রাত্রিযাপন করবেন বলে ভেতরে থাকা একটি বিশ্বস্থ নিশ্চিত করেছেন।
এদি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফখরুলকে প্রেস ক্লাবের ভেতরে গিয়ে গ্রেফতার করা হবে না। যতক্ষণ বের না হবে ততক্ষণ অপেক্ষ করবে পুলিশ।
প্রেস ক্লাবের মূল ফটকসহ আশপাশে ডিবি পুলিশ অবস্থান করছে, প্রস্তুত রাখা হয়েছে কয়েকটি সাদা মাইক্রোবাস। সোমবার সন্ধ্যা সাতটা ৪৫ মিনিটের দিকে প্রেসক্লাবের তিন গেটে তিন ভাগে ডিবি পুলিশের তিনটি টিম অবস্থান নেয়।
প্রতি টিমে ১০ থেকে ১২ জন করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন।
এ ছাড়া প্রেসক্লাবের সামনের গেটে ফুটওভার ব্রিজের নিচে একটি সাদা মাইক্রোবাস রাখা হয়েছে।
পুলিশের বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে বের হলে তাকে আটক করা হবে।
তবে এ তথ্যের বিষয়ে ডিবি পুলিশ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের সংগঠনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেসক্লাবে যান এবং তারপর থেকে তিনি ভবনের ভেতরেই অবস্থান করছেন।
সেখানে সন্ধ্যায় তার সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও তা আর করেননি তিনি।
অপরদিকে, বিকেলে আওয়ামী লীগপন্থি সাংবাদিকদের একটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল সেখানে যান।
এ সময় ইকবাল সোবহান চৌধুরী জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে অবস্থানরত বহিরাগতদের বের করে দিতে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, সাংবাদিকদের কর্মসূচি চলাকালে সেখানে বহিরাগতরা হামলা চালিয়েছে এবং তারা প্রেসক্লাবের ভেতরে অবস্থান করছেন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বহিরাগতদের বের করে না দেওয়া পর্যন্ত তারা জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান করবেন। –