যতই দিন যাচ্ছে দুর্বৃত্তদের হামলায় দগ্ধ রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে। জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়ে পেট্রোল বোমা আর ককটেল বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন এসব মানুষ। আর তাদের সেরে উঠতে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রোববার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর ব্রিজ এলাকা পার হয়ে বানিয়াবাড়ি এলাকায় সিএনজি চালিয়ে আসছিলেন সাইফুল ইসলাম। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। এরপর চার সন্তান ও পরিবারের একমাত্র অবলম্বন সাইফুলের মাথায় পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, ‘তারা পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, দু’জন দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় আমি দরজা খুলে বের হতেও পারিনি। কাজে বের হয়ে যদি নিরাপদে ঘরে ফিরতে না পারি, তাহলে এদেশে বাস করে কী হবে।’
একইভাবে ৯ জানুয়ারি রাতে মুন্সীগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া আসার পথে বাসে আগুন দিলে মাসুদ নামে এক এনজিও কর্মীর শরীরও ঝলসে যায়।
অবরোধের এই ক’দিনে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধ এগারোজনের মধ্যে রোববার একজনে মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ সংকর পাল বলেন, ‘দু’জন আইসিইউতে ভর্তি আছে, তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক, দু’এক জনের অবস্থা একটু উন্নতির দিকে। এমন রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন।’
এছাড়া, বার্ন ইউনিটের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতর ১০ রোগীর মধ্যে ছয়জনের অবস্থাই গুরুতর বলে জানালেন আবাসিক সার্জন।