গাইবান্ধায় অভিযানের আগেই পুলিশের গোপন তথ্য চলে যাচ্ছে নাশকতাকারীদের হাতে। যার ফলে দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে পারছে না পুলিশ। অন্যদিকে কৌশল পাল্টিয়ে বগুড়া ও রংপুরের জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা গাইবান্ধায় অবস্থান নিয়ে একের পর এক তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।
অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকেই গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও আশপাশের এলাকায় একের পর এক গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। স্থানীয় জনসাধারণ, পুলিশ ও রাজনীতিকরা বলছেন, নাশকতাকারীদের বেশির ভাগ সদস্যই অপরিচিত। পার্শ্ববর্তী বগুড়া ও রংপুরের জামায়াত-শিবির কর্মীরা এসব তাণ্ডব চালাচ্ছেন বলে দাবি তাদের।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘যার বাড়ি পীরগঞ্জ, সে হয়তো পীরগঞ্জ থেকে পলাশবাড়ি আসে, এভাবে যারা পলাশবাড়ি কিংবা পীরগঞ্জে আসা-যাওয়া করছে, তারা আবার তাদের নির্দিষ্ট আশ্রয়ে অবস্থান করছে না।’
ইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার জাসদ সভাপতি নুরুজ্জামান প্রধান বলেন, ‘পলাশবাড়ি উপজেলা সদর একটি মহসড়কে অবস্থিত হওয়ার কারণে, নাশকতাকারীরা মনে করে, এখানে কিছু করতে পারলে তা উত্তরাঞ্চলকে প্রভাবিত করবে।’
গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর প্রধান বলেন, ‘পলাশবাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে সাদুল্যাপুর, এই এলাকাটি জামায়াত অধ্যুষিত, যে কারণে তারা সহজেই পলাশবাড়ি এলাকায় তৎপরতা চালাতে পারে।’
অন্যদিকে নাশকতাকারীদের ধরতে গিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশের অভিযান। তথ্য ফাঁসের কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি ১৪ দলের এই নেতার।
ওয়ার্কার্স পাটির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ বলেন, ‘এখানে অভিযান চালানোর ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে খুব সচেতনভাবেই তাদের কার্যক্রম চালাতে হবে।’
পুলিশি অভিযানের তথ্য ফাঁসের কথা স্বীকার করে, গাইবান্ধায় কর্মরত বগুড়া ও রংপুর এলাকার পুলিশ সদস্যদের দিকে সন্দেহের তীর জেলা পুলিশ সুপারের।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘এখানে যে পুলিশ সদস্যরা কাজ করেন, তাদের অনেকের বাড়িই রংপুর, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও-এ অঞ্চলগুলোতে, এ কারণে কিছু তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।’
গাইবান্ধায় কর্মরত ৮শ’ ১২ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১শ’ ৩৩ জনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়া এবং ১শ’ ৯৩ জনের বাড়ি রংপুরে।