সম্প্রতি মেন্টাল ছবির জন্য শানের গাওয়া ‘বলতে বাকি কত কি’ গানটির সুরকার হিসেবে ইমরানকে স্বীকার করে, ইমরানের সুরে শানের গাওয়া ‘বলতে বাকি কত কি’ গানটি ‘মেন্টাল’ ছবিতে ব্যবপার করা হবে না এবং শানের গাওয়া এই গানটি ইউটিউব থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে, ইমরানের দেওয়া এই শর্ত মেনে ইমরানের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন এই ছবির প্রযোজক পারভেজ চৌধুরী।
বিষয়টি নিয়ে ইমরানের কাছে দু:খ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর মেন্টাল ছবির জন্য জাহিদ হাসান অভির নতুন একটি লেখায় নতুন সুর এবং সংগীতায়োজন ইমরান করবেন বলে মৌখিকভাবে কথা হয় দুই পক্ষের মাঝে। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটলো মেন্টালের বিরুদ্ধে ইমরানের আনা ‘সুর চুরি’ বিতর্কের।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারী ২০১৫ রেডিও স্বদেশ ডট নেট এর ইউটিউব থেকে অফিসিয়াল ভাবে প্রকাশিত হয় ইমরানের ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ শিরোনামে একটি গানের মিউজিক ভিডিও। গানের কথা লিখেছেন শফিক তুহিন। এদিকে গত ২২ জানুয়ারি রাতে শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত ‘মেন্টাল’ ছবির ‘বলতে বাকি কত কি’ শিরোনামে’ শানের গাওয়া একটি গান প্রকাশিত হয়। গানটির সুর এবং সংগীত হুবহুভাবে ইমরানের ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ গানের সাথে মিলে যায়। কিন্তু সেখানে সুরকার এবং সংগীতপরিচালক হিসেবে নাম দেওয়া হয় ডাব্বু নামের কলকাতার এক সংগীতপরিচালকের। এরপরই বাংলামেইল সহ বেশকয়েকটি গণমাধ্যমের কাছে যথাযথ প্রমাণ সহ মেন্টালের বিরুদ্ধে সুর চুরির অভিযোগ আনেন ইমরান।
এরপর দুইপক্ষ মিলে গত ২৫ জানুয়ারি রাতে আলোচনায় বসে সমঝোতায় পৌঁছায়। নিকট অতীতে ঘটে যাওয়া সকল ভুলবোঝাবুঝি ভুলে গিয়ে সামনে আবারো একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয় দুইপক্ষ। ইমরান এবং পারভেজ চৌধুরীর পাশাপাশি আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মেন্টাল ছবির পরিচালক শামীম আহমেদ রনী, জাহিদ আকবর, শফিক আল মামুন, শফিক তুহিন, রবিউল ইসলাম জীবন, জাহিদ হাসান অভি, ফয়সাল রাব্বিকীন, অভি কথাচিত্রের কর্ণধার কামাল হাসান প্রমুখ।