আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকে: গাইবান্ধায় যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় তিন শিশুসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে ২৯ যাত্রী। নিহতদের মধ্যে এক শিশুর পরিচয় জানা গেছে। তার নাম সুজন (১০)। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের তারা মিয়া ও সোনা বানুর ছেলে। এ ঘটনায় শিশুটির মা সোনা বানুকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) বার্ন ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম। শুক্রবার রাতে গাইবান্ধা- পলাশবাড়ী সড়কের তুলসীঘাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর থেকে নাপু এন্টারপ্রাইজের একটি বাস ৪০ জনের অধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। পথে তুলসীঘাট এলাকায় বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশুসহ চার জন এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে আরো দুই শিশুর মৃত্যুর হয়। গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আবু হানিফ পাঁচ জন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি আরো জানান, ̧রুতর আহত ১৭ জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আট জনকে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সবার পরিচয় জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গাইবান্ধা অতিরি৩ পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন পেট্রোল হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) বার্ন ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত গাইবান্ধায় বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ ২০ রোগী রমেকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে শনিবার সকালে সুজন নামে এক শিশু মারা গেছে। এছাড়া ছয় জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের সবার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আহতদের মধ্যে সাত জনকে বার্ন ইউনিটে, অবজারবেশনে নয় জন, অর্থপেডিকে এক জন, সার্জারিতে তিনজন ভর্তি করা হয়।