দেহে বড় কোনো ধরনের রোগের বাসা নেই কিন্তু মাঝে মধ্যেই ছোট খাটো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আপনাকে। পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা বা অন্যকিছু। একটু কষ্ট করে সহ্য করলেই পার পেয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন। তাই আর ডাক্তারের কাছে যেতে হচ্ছে না। কিন্তু একটু একটু করে ডেকে আনছেন নিজের বিপদ। তাই সচেতন হোন এখনি। নিজেকে সুস্থ রাখুন কিছু ছোট্ট কৌশল অবলম্বন করে।
* সারা দিন না খেয়ে থাকলে অথবা পর পর কয়েক দিন সকালের নাস্তা না করলে আমাদের অনেক সময় গ্যাস এর সমস্যা হতে পারে। যদি এধরনের সমস্যায় পড়েন, তবে ১ গ্লাস পানির সঙ্গে একটু লবণ ও একটু চিনি মিশিয়ে খেয়ে নিন। দেখবেন খুব দ্রুত খাবার হজম হয়ে গেছে।
* তেজপাতাই আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, খনিজ উপাদান এবং ফলিক এসিড। এর রস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মাইগ্রেন এর ব্যথাসহ শরীরের কোথাও আগুনে পুড়ে গেলে তেজপাতার রস তাৎক্ষণিক কাজ করে।
* রসুন ইনফেকশন থেকে রক্ষা করতে খুবই উপকারী। কৃমি থেকে পরিত্রাণ পেতে, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে ও ফাঙ্গাস দূর করতে রসুন দারুন সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন দুয়েক কোয়া রসুন খেতে পারেন।
* সঠিক নিয়মে খাবার গ্রহণ করলে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের মাইগ্রেন এর সমস্যা আছে তারা বাইরে যাওয়ার আগে এবং ফিরে একগ্লাস করে স্যালাইন খাবেন। খালি পেটে থাকলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তাই সব সময় পেট ভরা রাখার চেষ্টা করবেন।
* অনেকেই ভাবেন ভাত খেলে মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। অনেকে আবার ভাত বাদ দিয়ে দেন। অথচ ১০০ গ্রাম ভাতে আছে ১০০ কিলোক্যালরি। আটার রুটির প্রায় সমান ক্যালরি ভাতে। তাই যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ভাত খাওয়া ভালো।