কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ দুই অপারেটরের হাতে চলছে কটিয়াদী থানার কার্যক্রম। আর মামলা/ অভিযোগ/ জিডি করতে আসা লোকজন রীতিমত হয়রানীর শিকার হ”েছ প্রতিনিয়ত। সু-বিচার ও পুলিশী সেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলাবাসী। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ ৪ বছর ধরে ওয়্যারলেস অপারেটর ছিদ্দিক ও ৫ বছরের অধিককাল যাবৎ কম্পিউটার অপারেটর সুজিত কুমার বিশ্ব শর্মা। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উপজেলার ১৫৫টি গ্রামের লোকজন। থানায় আসে তাদের অভিযোগ নিয়ে। আর অভিযোগ লিখে এই দুই অপারেটর। প্রতিটি দরখাস্ত লিখে তারা ৫’শ থেকে ১হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় অসহায় লোকজনদের কাছ থেকে। এমনও পরি¯ি’তি দেখা যায় এসব অপারেটরগণ সরকারী নীতিমালার বাইরে গিয়ে জোর পূর্বকভাবে টাকা আদায় করে। এলাকায় প্রবাদ আছে, কটিয়াদী থানার অপারেটরগণ পারলে গায়ের চামড়া খুলে রেখে দিতে চায়। শুধু তাই নয় ওরা থানার গেইটে কিছু দালাল নিয়োগ করে রাখে। নিয়োজিত দালালরা রাস্তা থেকে লোকজনদের সাত-পাঁচ বুঝিয়ে থানার ভিতরে নিয়ে যায়। কোন ভূক্তভোগি ব্যক্তি তার অভাব অভিযোগ বলার সাথে সাথে অপারেটর ছিদ্দিক ও সুজিত শুর“ করে নাম ঠিকানা লেখা। ঠিকানা লেখার পর শুর“ হয় টাকা চাওয়ার পর্ব। কেহ ৫,শ টাকার কম দিলে তার অভিযোগ লেখা হয় দায়সারা। আর ৫,শ টাকা দিলে তার অভিযোগ লেখা হয় নন.এঅ.আই.আর সিস্টেম। আর ১ হাজার টাকার দরখাস্তে লেখা হয় মামলার বিবরণ এতেও থাকে শত ভুল। এসব কারনে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন হয়রানীর শিকার হ”েছ। ভূক্তভোগীরা জানায় মানুষের সুখ, দুঃখ, আইন শৃঙ্খলা ও জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য থানা কর্তৃপক্ষের উপর সরকার বিশেষ গুর“ত্ব আরোপ করলেও কটিয়াদী থানা পুলিশ এই দুই অপারেটরের কারনে আ¯’া হারিয়ে ফেলেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায় কম্পিউটার অপারেটর সুজিত সিডিএমএস (ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-এ মামলা এন্ট্রি দেওয়ার অজুহাতে কোন টহল ডিউটি পালন করে না। মামলা এন্ট্রি দেওয়ার নাম করে সারাদিন থানায় বসে থাকে এবং এজাহার লিখে টাকা হাতিয়ে নেয় সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে। এছাড়াও মামলা এন্ট্রি দেওয়ার জন্য আনা এফ.আই.আর কপি বাইরে এনে বিক্রি করে দেয় মামলার বিবাদীপক্ষের কাছে। এসব বিষয় নিয়ে কটিয়াদী থানার মুন্সি মোঃ হুমায়ুন ও কম্পিউটার অপারেটর সুজিতের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি ও বাগ বন্ডিতা হয়। তাছাড়াও সিডিএমএস- এর মাধ্যমে অন্য জেলার এফ.আই.আর কপি বের করেও বিক্রি করে এই কম্পিউটার অপারেটর। নিজ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কম্পিউটার অপারেটর সুজিত দায়িত্ব পালন করে এস.আইদের তদন্ত ব্যয় রেজিস্টারের। সামান্য কনস্টেবল পদে চাকুরী করেও সুজিত কটিয়াদীতে স্বপরিবারে থাকেন রাজার হালে। কটিয়াদী থানার এস,আই আলমগীর হোসেন জানায় এই দুই অপারেটর সার্ভিস ডেলিভারী অফিসারের দায়িত্ব পালন করে। প্রকৃত পক্ষে একজন অভিজ্ঞ এস,আই পদ মর্যাদার অফিসার সার্ভিস ডেলিভারী অফিসারের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও এখানে অদক্ষ কনস্টেবল দ্বারা গুর“ত্বপূর্ণ কাজটি করানো হয়। যাহা বিধি বহিঃর্ভূত বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।