রাজধানীতে আবারো আগুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর তিনটি পয়েন্টে পরপর ৭ টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সন্ধ্যার পর যাত্রাবাড়ী, মৌচাক ও বনানী এলাকায় এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা নগীরতে প্রচার হওয়ার পর মুহূর্তের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ফাঁকা হতে শুরু করে। ব্যস্ত নগরবাসীকেও তড়িঘড়ি করে কাজ শেষে করে ঘরে ফিরতে দেখা যায়। আগুন আতঙ্কের ছাপ একুশে বইমেলাতেও পড়ে। মেলার শেষদিনে উপচে পড়া ভিড়ও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমতে শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে একটি বাস ও দুটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটিরত একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকর্মী আমান উল্লাহ জানান, মৌচাকে দেশ টেলিভিশনের কার্যালয়ের সামনে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি গাড়ি ও দুটি প্রাইভেটকারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা ৬ নম্বর রুটের আরও একটি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি এলাকায় শনিবার রাত পৌনে ৭টার দিকে একটি যাত্রীবাহী পরিবহন ও দুটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা আতাউর রহমান একটি প্রাইভেটকারসহ ৩টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ২টি বাসের আগুন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যওয়ার আগেই স্থানীয়রা নিভিয়ে ফেলেন। আর একটি প্রাইভেটকারের আগুন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যেই নির্বাপন করে।
এছাড়া নগরীর বনানীর কামাল আতার্তুক রোডে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েজনককে পুলিশ আটক করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। বনানী থানা পুলিশ আগুনের সত্যতা স্বীকার করলেও সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।একই সময় কমলাপুরে দুর্বৃত্তরা ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাহন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ভাঙচুর চালায়। প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকর্মী শাহদাৎ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।এ সব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর জানা যায়নি।
আশিকুর রহমান চৌধুরী