বেনাপোল প্রতিনিধি,(যশোর): যশোরের বেনাপোলে মিঠুন দাস(৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে ৫ মাস পর অবশেষে জামাল হোসেন নামে এক যুবকসহ ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে।পুলিশ আসামীদের পক্ষ হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাত ১১ টায় নিহতের পিতা নরেন দাস বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন। খুনের শিকার ওই যুবকের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার বিনোদপুর গ্রামে। আসামী জামাল বেনাপোল পৌরসভার নামাজ গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং হত্যা, ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামী আজিজ ওরফে বল্টু আজিজের ছেলে। নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে গত বছরের ০৬ অক্টোবর তাকে রাজবাড়ি থেকে বেনাপোলে ডেকে এনে নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জামালও তার পরিবারের সদস্যরা। পরের দিন সকালে পুলিশ খবর পেয়ে জামালের বাড়ির বেড রুম থেকে মিঠুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এই মৃত্যু নিয়ে প্রথম থেকেই নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ ছিল তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু যথেষ্ট প্রমান না থাকা সত্তেও পুলিশ অপরাধিদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। এসময় নিহতের পরিবারকে পুলিশ জানায় তদন্ত রিপোর্টে যদি হত্যা প্রমানিত হয় তখন দেখা যাবে। অথচ হত্যার পরের দিন অপরাধীদের পক্ষে পুলিশ অভিযোগ নেয় মিঠুন তাদের বাসায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। দির্ঘ ৩ মাস পর লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায় তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর নিহতের পিতা বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এদিকে স্থানীয়রা জানান, হত্যা মামলার আসামীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির। সমাজে এমন কোন অপরাধ নেই যারা তার সাথে জড়িত নেই। আসামীর পিতা আজিজ ওরফে বলটুর নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় ছিনতাই,হত্যাসহ ৮ থেকে ১০টি মামলা রয়েছে। স্থানীয় পুলিশের সাথে তাদের গভীর সখ্যতাও রয়েছে। একারনে আসামীরা আদেও আটক হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এছাড়া অপরাধীদেরকে বাঁচাতে সেসময় তাদের পক্ষে পুলিশ অভিযোগ নিয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত ওসি) রফিকুল ইসলাম মামলার বিষয়টি স্বিকার করেছেন। এদিকে একের পর এক বেনাপোল সীমান্তে রহস্য জনক ভাবে নারী,পুরুষ হত্যার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু পুলিশের অর্থবাণিজ্যের কারণে দূর্বল তদন্ত রিপোর্টে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। সচেতন মহল বিষয়টি উর্ধতন
কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রতিবেদক: রুবেল হোসেন