মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করতে পাঁচ জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় রাজু ও জনির নেতৃত্বে ৯ সদস্যের জল্লাদ বাহিনীকে ডাকা হয়েছিল। তাদের নিয়ে মঞ্চে হয়েছে ফাঁসির মহড়াও। তবে কোন জল্লাদ ফাঁসির মঞ্চের লিভার টান দিবেন-কারা কর্তৃপক্ষ এখনই সেই নাম প্রকাশ করেনি।
মহড়ায় অংশ নেয়া জল্লাদ বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাজু ও জনি। ইতোমধ্যে এই পাঁচ জল্লাদ দিয়ে ফাঁসির মহড়া দেয়া হয়েছে। ফাঁসির দড়িতে ৮০ কেজি ওজনের বালুর বস্তা ঝুলিয়ে পরীক্ষাও করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত একজন জল্লাদই ফাঁসির মঞ্চের লিভার (লোহার তৈরি বিশেষ হাতল) টান দিয়ে কার্যকর করবেন।
কারাগার সূত্র জানায়, মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় রাজু অথবা জনিকে ফাঁসির মঞ্চের পাশে রাখা হবে। ফাঁসির মঞ্চের পাশে অন্যদের সাথে দাঁড়িয়ে থাকবেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক। তার হাতে থাকবে একটি লাল রুমাল। হাত থেকে রুমালটি মাটিতে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল্লাদ মঞ্চের লিভার টেনে দেন। এতে পায়ের তলা থেকে কাঠ সরে ফাঁসি কার্যকর হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চের ধোয়া-মোছার কাজ শেষ। জল্লাদের তালিকা ইতোমধ্যে ছোট হয়ে এসেছে। কারা সূত্র জানায়, এখন পাঁচ সদস্যের জল্লাদ বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পল্টু, এরশাদ ও সাত্তার ছাড়াও আলমগীর ও রানা নামে আরো দুই জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাজু ও জনি একাধিক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামি। এর মধ্যে রাজুর ১৫ বছর সাজা ভোগ শেষ হয়েছে। ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়ার সময়েও জল্লাদ প্যানেলে তাদের নাম ছিল। তবে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা শাহজাহানই শেষ দায়িত্বটি পালন করেছিলেন।