কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য আমান উল্লাহ আনু (৩০) নিহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্র জানায়, আজ সোমবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার হ্নীলা আলীখালী লবণ মাঠে মানবপাচারকারী চক্রের দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মানবপাচারকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় ওই স্থান থেকে আনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় রোহিঙ্গা কর্তৃপক্ষ লাশটি শনাক্ত করে। নিহত আনু নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকের মোহাম্মদ শফির ছেলে।
নিহত আমান উল্লাহ আনু গত বছর থেকে দমদমিয়া ন্যাচারপার্ক গেইটের উত্তর পাশে বনবিভাগের জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। স্থানীয়রা জানায়, নয়াপাড়া আনু ও লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডা. কবীরের নেতৃত্বে অবৈধপথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার শুরু করেন। দুইজনই তালিকাভুক্ত ইয়াবা ও মানবপাচারকারী। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনু ও ডা. কবীরের নেতৃত্বে রয়েছে বিশাল দুইটি সিন্ডিকেট। তাদের কথায় ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হতো। প্রশাসন পর্যন্ত তাদের কথায় চলতো।
এদিকে, বন্দুকযুদ্ধে আমান উল্লাহ আনু নিহত হওয়ার খবর হ্নীলা-টেকনাফে ছড়িয়ে পড়লে নিখোঁজের অভিভাবকরা স্বস্তি প্রকাশের পাশাপাশি অপর শীর্ষ মানবপাচারকারী এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। টেকনাফ থানার ওসি মো. আতাউর রহমান খোন্দকার মানবপাচারকারীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ পাচারকারী নিহত হওয়ার সংবাদ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আনুর বিরুদ্ধে অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মানবপাচারকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।