বড়পর্দায় ফিরলেন পাঁচ বছর বাদে। কান চলচ্চিত্র উৎসব মাতিয়ে দিয়েছেন। ‘জজবা’য় তাঁর লুক দেখে স্তম্ভিত সবাই। এবার দেখা যাবে ‘সরবজিত’-এ। কামব্যাকের সংজ্ঞাটা বদলে দিলেন ঐশ্বরিয়া। সংসার গুছিয়ে বলিউডে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলেন কাজল-মাধুরীও। কিন্তু এতটা বেছে ছবিতে সাইন করেননি, ঐশ্বরিয়া গোড়া থেকেই সেটা করছেন। পাকিস্তানের জেলে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি থাকা ভারতীয় সরবজিত্ সিং-এর বায়োপিক ‘সরবজিত’। সরবজিতের দিদি দলবীর কউরের ভূমিকায় দেখা যাবে ঐশ্বরিয়াকে। ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে দিদির লড়াই নিয়েই কাহিনী। এক কথায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। নিছক নায়িকা কিংবা ‘গ্ল্যামার গার্ল’ তকমা ছেড়ে দাপুটে অভিনেত্রী হিসাবে দেখা যাবে তাঁকে এবার। ছবির পরিচালক ওমুং কুমার। ‘মেরি কম’-এর পর নতুন করে তাঁর পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ওমুং প্রযোজনাও করছেন ছবিটি। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন তাঁর নতুন ছবিতে সরবজিতের দিদির চরিত্রে অভিনয় করছেন। সব ফাইনাল হয়ে গিয়েছে, জানিয়েছেন পরিচালক।
কীভাবে রাজি করালেন ঐশ্বরিয়াকে? ওমুংয়ের উত্তর, “আমি যখন ঐশ্বরিয়াকে ছবির চিত্রনাট্য পড়ে শোনাই, তখন ওর চোখে জল এসে গিয়েছিল। তখনই জানিয়ে দেয় এই ছবিতে ও অভিনয় করবেই।” ছবির শুটিং শুরু অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। পাঞ্জাবে সরবজিতের গ্রামের আশপাশেই হবে শুটিং। ছবির জন্য যাবতীয় অনুমতি সরবজিতের দিদি ও পরিবারের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন সহ-প্রযোজক জিশান কাদরি। ১৯৯১ সালে ভারতের চর হিসাবে পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সরবজিত্ সিং। সন্ত্রাস ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সরবজিতকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় পাক আদালত। ভাইকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আদালত-মিছিল-বিক্ষোভ-আরজি দীর্ঘ লড়াই লড়েছেন দলবীর। তাঁর এই জার্নিই ছবির কাহিনি। সেই কাহিনী পর্দায়। আর তার মুখ্য ভূমিকাটাই ঐশ্বরিয়ার অধিগত। দলবীরের মতো বলিষ্ঠ চরিত্র অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়ার উত্তরণকে যে অনেকটাই তুলে ধরবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।