চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের জন্য নেইমার ছিলেন না ব্রাজিল দলে। তবু ছেদ পড়েনি তাদের জয়রথে। ফিলিপে কৌতিনিয়ো ও ডিয়েগো তারদেল্লির লক্ষ্যভেদে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার প্রস্তুতিটা দারুণভাবে সেরে নিয়েছে ব্রাজিল। রবিবার আন্তর্জাতিক ফুটবলের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ফ্রান্সও। তবে মারুয়ান ফেলাইনির জোড়া গোলের সঙ্গে এডেন হ্যাজার্ড ও রাদা নাইনগোলানের লক্ষ্যভেদে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরেছে ১৯৯৮ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। জিততে পারেনি ইংল্যান্ডও, গোলশূন্য ড্র করেছে তারা প্রতিবেশী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
গত বছর নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ৩-০ গোলের হারের পর মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ঘরের মাঠে প্রথমবার নেমেছিল ব্রাজিল। সাও পাওলোর ম্যাচটি তাই ‘সেলেসাও’দের জন্য ছিল অন্য রকম আবেগের। ঘরে ফেরার ম্যাচটির আগে কার্লোস দুঙ্গার দলের ছিল টানা আট ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস। বিশ্বকাপের পর কোচের চেয়ারে বসা সাবেক এই অধিনায়কের অধীনে নবম জয়টাও হেসেখেলেই পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা মেক্সিকোর বিপক্ষে। দলের প্রধান অস্ত্র নেইমারের না থাকাটা প্রভাব ফেলেনি কোনো। ২৮ মিনিটে ব্রাজিল জার্সিতে নিজের প্রথম গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন কৌতিনিয়ো। ফিলিপ লুইজের পাস বক্সের মধ্যে ধরে মেক্সিকোর এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে আড়াআড়ি শটে জালে বল জড়ান এই লিভারপুল মিডফিল্ডার। আর ৩৭ মিনিটে এলিয়াসের পাস থেকে তারদেল্লি জাল খুঁজে পেলে প্রথমার্ধেই দুই গোলের লিড নেয় ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত ওই দুই গোলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে ‘সেলেসাও’রা।
কোপা আমেরিকার আগে মেক্সিকোর মতো দলের বিপক্ষে সহজ জয় এবং সেটাও নেইমারকে ছাড়াই, তাই শিষ্যদের পারফরমেন্সে বেজায় খুশি দুঙ্গা, ‘জানতাম নেইমার খেলতে পারবে না, তাই অন্যদের প্রমাণ করার সুযোগ ছিল ম্যাচটিতে। তা ছাড়া বিশ্বকাপের পর এটি ছিল আমাদের ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ, এদিক থেকেও ম্যাচটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। দলের পারফরমেন্সে আমি সন্তুষ্ট। তবে ব্যক্তিগত পারফরমেন্সে আরো উন্নতি করতে হবে।’
১৪ জুন পেরুর বিপক্ষে কোপা মিশন শুরুর আগে কাল শেষ প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিল মাঠে নামবে হন্ডুরাসের বিপক্ষে।