সেলফি এখন নেশার মতোই। কিন্তু সেই নেশা যে ঠিক কতখানি সম্প্রতি এক সৌদি তরুণের তোলা সেলফিই বোধ হয় এর অকাট্য প্রমাণ। সৌদি ওই তরুণ নিজের দাদার মৃতদেহের সঙ্গে ভেংচি কেটে সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগের সাইটে পোস্ট করেন। বিছানায় শোয়ানো মৃত দাদার সঙ্গে ঐ সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে পোস্ট করাই শুধু নয়; তরুণটি সে ছবির শিরোনাম দিয়েছিলেন— ‘গুডবাই গ্র্যান্ডফাদার’। তাঁর এই ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ সেলফি পোস্টে করার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের সাইটে এ নিয়ে তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠেছে। ওই তরুণের আচরণের জন্য তো বটেই এই ছবি তুলতে দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপরেও ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেকেই। খবর আইএএনএসের।
তরুণটির মোবাইল ফোনে তোলা সেলফিতে তাঁকে জিহ্বা বের করে, মুখে দুষ্টু ভাব এনে অনেকটা ছেলেমানুষী আচরণের ভঙ্গিতে দেখা যায়। ঠিক পেছনেই বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে তার দাদার মৃতদেহ।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ওই সেলফির শিরোনাম হিসেবে দেওয়া হয়েছে ‘গুডবাই গ্র্যান্ডফাদার’। এই ‘অবিবেচক’ আচরণের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ধরনের কাজ ঠিক নয় এবং অনৈতিক বলে অনেকেই সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তারা এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটতে দিলেন তা তদন্ত করার দাবিও ওঠে।
সৌদি আরবের পাবলিক রিলেশন অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমে পড়েছে।
মদিনা এলাকার পাবলিক রিলেশন অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের প্রধান আবদুল রাজ্জাক হাফেজ অভ্যন্তরীণ তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মদিনার স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এই সেলফি হাসপাতাল এলাকায় তোলা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে।। প্রমাণ পাওয়া গেলে ছবি তুলতে অনুমতি দেওয়া বা এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে ব্যর্থ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওই তরুণের সেলফি তোলার এই ঘটনাকে ‘দায়িত্বহীন আচরণ’ ও ‘নৈতিকতার লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদ আল-হারবি নামের এক আইনজীবী বলেন, ওই তরুণের আচরণ শাস্তিযোগ্য। এটি মানুষের সাধারণ অনুভূতিকে ভয়ানক উসকানি ও নৈতিকতার লঙ্ঘন।