প্রতি বছরের মতো এবারও কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের ১৮৮তম জামাতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফরীদউদ্দীন মাসউদ। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যানে মোনাজাত করা হয়। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দু’টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। এবারও শোলাকিয়া মাঠ থেকে জামাত সরাসরি সম্প্রচার করে বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল। বেশি লোক একত্রিত হয়ে জাময়াতে নামাজ পড়লে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া কবুল হয়- এরকম বিশ্বাস থেকেই দেশের সবচেয়ে বড় এ ঈদ জামায়াতে অংশ নেয ধর্শপ্রাণ মুসলমানেরা। প্রায় তিনশ’ বছর ধরে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।ঐতিহ্য অনুসারে শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি ও ১ মিনিট আগে ১টি শর্টগানের গুলি ফুটিয়ে জামাত আরম্ভের ঘোষণা দেয়া হয়। ১৮২৮ সালে শোলাকিয়ায় ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হলেও এর যাত্রা শুরু হয় ১৭৫০ সালে। মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ৬ষ্ঠ বংশদর দেওয়ান হযরত খানের উত্তরসূরী দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৯৫০ সালে ৪.৩৫ একর ভূমি শোলাকিয়া ঈদগাহে ওয়াকফ করে দেন। বর্তমানে এ জায়গার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ একর। যা আগত মুসল্লিদের মাত্র অর্ধেকের বেশি ধারণ করতে পারে। এ এলাকার পূর্বনাম ছিল রাজাবাড়িয়া। জনশ্রুতি আছে, ঈদগাহ মাঠে ১ম বড় জামাতে সোয়া লাখ লোক অংশ নিয়েছিলেন। যে কারণে এর নামকরণ করা হয় সোয়ালাকিয়া। সেখান থেকেই নাম হয়ে যায় শোলাকিয়া ঈদগাহ।