বরিশাল নগরীতে সুচনা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল স্বামীর বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে নগরীর ৭নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং এলাকার এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন স্বামী ইমাম হাসান।
নিহত গৃহবধূ সুচনা আক্তার ওই এলাকার আলী হোসেনের মেয়ে এবং নগরীর আব্দুর রব সেরনিয়াত কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
নিহতের স্বামী ইমাম হাসান হাউজিং এলাকার বাসিন্দা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের নায়েক ইসমাইল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি বরিশাল আরআরএফ পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন।
নিহত সুচনার বাবা আলী হোসেন অভিযোগ করেছেন- গত দুই বছর আগে বিয়ের পরপরই তার জামাইয়ের পরিবার পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে নানা ধরনের নির্যাতন করে আসছিলো। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস বিচারও হয়েছিলো।
আলী হোসেনের দাবি করেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তার ওপর যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালানো হলে মৃত্যু হয়েছে। পরে শ্বশুর পরিবার এটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কনস্টেবল হাসান ইমামের ছোট ভাই রায়হানও জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের বাবা আলী হোসেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। কিন্তু রাত বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে সুরতাহাল রিপোর্ট করা যায়নি।