বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ না খেলিয়েই তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। অপরাধ ছিল, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করা। এরপর দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত টানা তিনটি সিরিজের একটিতেও দলের জন্য বিবেচনা করা হয়নি পেসার আল আমিনকে। তার উপর নতুন বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের উত্থানে পেস বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে বাংলাদেশের। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে মুস্তাফিজকে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য ভয়ের কারণ হিসেবেই দেখতে পারেন আল আমিন। তবে, তিনি দেখছেন অনুপ্রেরণা হিসেবে। দৈনিক মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবার কারণ নেই। ও খুব ভাল বল করছে। এটি আমাদের জন্য আনন্দের। এছাড়া ওর বোলিংটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাও। কারণ, কেউ যেখন ভাল পারফরম্যান্স করে তখন তাকে দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হয়। ভাল করার তাড়না তৈরি হয়।’ আল আমিন জানালেন দু’জনের মধ্যে ভিন্নতার কথা, ‘আমাদের দুজনের বোলিং স্টাইলটাও ভিন্ন। ও দলে জায়গা পেয়েছে যোগ্যতা নিয়েই। আমিও দলে জায়গা পেয়েছিলাম নিশ্চয় আমার বোলিংয়ে ভাল কিছু ছিল বলে।’ নিজের প্রসঙ্গেও কথা বললেন আল আমিন। বোঝা গেল জাতীয় দলের ফিরতে সত্যি তিনি মরিয়া। আর এর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক কমিটির দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। বললেন, ‘জাতীয় দলে খেলার বিষয়টি অন্যরকম। তবে আগে যখন ঘরোয়া লিগ খেলেছি তখনও এই নিয়ে বেশি চিন্তা করিনি এখনও করি না। আমি কিন্তু পারফরম্যান্সের জন্য দল থেকে বাদ পড়িনি। জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটেই আমি ভাল করেছি। লক্ষ্য এটাই- খেলে যাবো, নির্বাচকরা ঠিক মনে করলে ডাকবেন- এটাই বিশ্বাস করি।