বাংলাদেশে ব্লগার নিলয় নীল (নীলাদ্রি চট্টপাধ্যায়) হত্যার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাতিসংঘ।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে তাঁরা বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার চর্চাকারীদের পাশে থাকবে। জরুরি ভিত্তিতে অপরাধীদের ধরে বিচার করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। একই দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘও।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল শুক্রবার পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের ব্লগার নিলয়ের কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে নিলাদ্রির পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা ও বাংলাদেশি মানুষের প্রতি সমর্থন জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঘৃণ্য ঘটনা সহিংস উগ্রপন্থা দমনে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরছে। যেসব বাংলাদেশি এ ধরনের জঘন্য কাজকে প্রত্যাখ্যান করে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্থান রক্ষা করতে কাজ করে, তাদের পাশে যুক্তরাষ্ট্র থাকবে।
নিলয়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হিউগো সোয়ার গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে হিউগো সোয়ার এই হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্লগার নীলাদ্রিকে হত্যার খবর শুনে তিনি মর্মাহত।
বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন মতপ্রকাশের বিষয়টি একটি সর্বজনীন অধিকার, এটি অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।’ তিনি বলেন, উগ্রবাদ মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকবে।
এক বিবৃতিতে বিবৃতিতে নিলয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত করতে এবং আগের সব ব্লগারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জাতিসংঘ।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গোড়ানে বাসায় ঢুকে নৃশংসভাবে খুন করা হয় ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি নিলয় নীল নামে ব্লগে লিখতেন। এর আগে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্লগার অভিজিৎ রায়, ৩০ মার্চ ওয়াশিকুর রহমান এবং ১২ মে অনন্ত বিজয় দাসকে হত্যা করা হয়। তারও আগে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা করা হয় ব্লগার রাজীব হায়দারকে। সবাইকে অনেকটা একই কায়দার প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।