লালমনিরহাটে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে আরএফএল কোম্পানির সহকারী প্রকৌশলী গোলাম আজম (২৫) নামে এক তরুণের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত তরুণ আরএফএল কোম্পানির নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত। তিনি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার দশলিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে নিকটাত্মীয়ে বিয়েতে এসে পরিচয় হয় লালমনিরহাট শহরের হাড়িভাঙ্গা এলাকার মৃত আবদুর রশিদের কন্যা বেবী ফারজানা আক্তার নদীর সঙ্গে। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু প্রেমিকা নদীর অন্যত্র বিয়ে হবে- এমন খবর পেয়ে কর্মস্থল থেকে ছুটে আসেন লালমনিরহাটে নদীর বাড়িতে। এদিকে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় কে বা কারা প্রকৌশলী আজমকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃণাল কান্তি তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শরীরে বিষ প্রয়োগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক রিপোর্টে উল্লেখ করেন। এদিকে খবর পেয়ে নিহত গোলাম আজমের স্বজনরা গাইবান্ধা থেকে ছুটে আসেন এবং এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন। নিহতের ভাই মশিউর রহমান মিঠু লালমনিরহাট সদর থানায় রোববার সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার ভাইকে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে নদীর পরিবারের লোকজন। অথচ তারা এটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’ লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম মাহফুজুর রহমান জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।