শুল্ক ফাঁকি দেয়া অসৎ ব্যবসায়ীদের তালিকা করে ‘ধাওয়া করা’ হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। গতকাল রাজধানীতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। নজিবুর রহমান বলেন, বন্ডেডওয়্যার হাউজের অপব্যবহার করে এবং শুল্ক-কর ফাঁকি দেয় এমন অসৎ ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শিগগির শেষ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা অসৎ ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করব। অসৎ ব্যবসায়ীদের সাবধান করে দিচ্ছি এবং একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- আপনারা দেশকে রাজস্ববঞ্চিত করবেন না। উচ্চ আদালতের দৃষ্টিও এখন অসৎ ব্যবসায়ীদের দিকে। আইনের বেড়াজাল থেকে কেউ রক্ষা পাবে না। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব কাজ করদাতা ও ব্যবসা-বান্ধব করতে শনিবার রাজস্ব পর্যালোচনা সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে প্রথমবারের মতো ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতিকে ডাকা হয়েছে। বন্দরে যাত্রী ও করদাতাদের হয়রানি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করদাতা ও যাত্রী হয়রানি রোধে আমরা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিচ্ছি। বর্তমানে যেসব বদলি ও পদায়ন হচ্ছে সেক্ষেত্রে কর্মকর্তার যোগ্যতা, দক্ষতা, আচরণ ও করদাতাদের সঙ্গে ব্যবহার ইত্যাদি বিবেচনা করা হচ্ছে।
কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দশম তলায় অধিদপ্তরের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে লেখা ‘গোয়েন্দার চোখ’- শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর প্রশাসনে সুশাসন নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সংস্কার চলছে। আশা করি এ সুফল যেমন ব্যবসায়ী বা করদাতারা পাবেন, তেমনি সরকারও পাবে। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, শুল্ক ফাঁকির মামলায় আদালত জামিন দিচ্ছে না।
আমরাও এ বিষয়ে আরও জোরালো কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছি। চোরাচালান যে ফরম্যাটেই হোক না কেন শুল্ক গোয়েন্দারা ছাড় দেবে না। গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য আমদানি রোধে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নামী প্রসাধনী আমদানির নামে যারা খালি কন্টেইনার এনে দেশে বসে পণ্য প্যাকিং করে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় গত কয়েক বছরে চোরাচালানে আসা সোনা, ঘনচিনি, নিষিদ্ধ ওষুধ, মোটরসাইকেল ও নকল প্রসাধনী জব্দ করার তথ্য তুলে ধরেন এ শুল্ক কর্মকর্তা।