সংবাদদাতা আমতলী ।।
বরগুনার আমতলী উপজেলায় বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে কৃষক আউশ ও ইরি ধানের চাষাবাদ করেছে। জমি চাষাবাদে যে অর্থ ব্যায় হয়েছে তার আনুপাতিক হারে ধানের দাম পাচ্ছে না। গত দুই দিন ১ মণ (৪৬ কেজি) ওজনে ইরি ধান ৪৩০ ও আউশ ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আমতলী উপজেলায় ৭ ইউনিয়নে ইরি ও আউশ ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫দশ হেক্টর। এতথ্য উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। সময়মতো বৃষ্টি হয়নি আবার অতিবর্ষণ এবং জলাবদ্ধতা মোকাবেলা করে কৃষক আউশ ও ইরি ধানের জন্য জমি চাষাবাদ করেছে। চন্দ্রা গ্রামের কৃষক হালিম খান জানান ৪ একর জমিতে আউশ ও ইরি ধানের চাষাবাদে খরচ হয়েছে চাষাবাদে ১১ হাজার টাকা, সার ও কীটনাশক বাবদ ১৯ হাজার ৫দশ টাকা। ইরি ধান পেয়েছে ১১৯ মন। সেই ধান ৩০০ টাকা মন দরে ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। একই গ্রামের সবুজ মিয়া জানান সে ১৪ মন আউশ ধান ৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছে। গত সোমবার তালুকদার বাজার ঘুরে দেখা গেছে কৃষক ধান নিয়ে বসে আছে। ফড়িয়ারা ধান কিনছে না। বিকাল বেলায় ফড়িয়ারা ধান ক্রয় শুরু করে। আমতলী ধান চাউল আড়ৎ মালিক জাকির হোসেন জানান মোকামের দাম অনুসারে ধান ক্রয় করতে হয়। তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষক জয়নাল জানান ৫ মণ গোডাইল্লা ইরি (মোটা) ৪৩০ টাকা ৪৬ কেজি মনে বিক্রি করেছি। একই গ্রামের জসিম, জাকির, আয়নাল , নান্নু মিয়া জানান ইরি গোডাইলা, চায়না ইরি ৪০০/৪৩০ টাকা মন দরে বিক্রি করেছি। কৃষক হরিপদ জানান বাজারে ইরি ও আউশ ধান যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে কৃষকের সর্বনাশ হচ্ছে। আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম বদরুল আলম জানান উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ধানের দাম কম বাস্তব সত্য কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।