রাতের বেলা আপনি কি কি কাজ করেন? কমবেশি প্রায় সকল মানুষই উত্তর দেবেন, ‘মানসিক চাপ নিয়ে পরের দিনের জন্য ঘুমিয়ে যাওয়া’। সত্যিকার অর্থেই এই কাজটি করা ছাড়া রাতে অনেকেই আর কিছু করেন না। একগাদা কাজের চাপ অথবা একটু রিলাক্স যাই করা হোক না কেন রাতের বেলা, পরের দিনের শুরুটা আবার হুড়োহুড়ির মধ্যে দিয়েই শুরু হয়। পরের দিনের সকালে তাড়াহুড়ো করে নাস্তা করা, তৈরি হওয়ার মধ্যে অনেক নতুন ঝামেলা দেখা যায়। কিন্তু পরের নিজের হুড়োহুড়ির জন্য তৈরি এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই। রাতের বেলার ছোট্ট কিছু কাজ পরের দিনের ঝামেলা অনেক সহজ করে দিতে পারে আপনার জন্য। ভাবছেন কীভাবে? চলুন তাহলে শিখে নিন কৌশলগুলো।
সকালের হুড়োহুড়িতে সকালের নাস্তা করেন না অনেকেই যার প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যের উপরে। তাই নাস্তা বাদ দেয়ার এবং তাড়াহুড়োর ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে সাধারণ নাস্তা রাতেই তৈরি করে রাখুন। সকালে শুধু গরম করার কাজটুকু করে নিন, ব্যস, সময় এবং ঝামেলা দুটোই কমে যাবে।
সকালে অনেক বেশী সময় নষ্ট হয় কোন পোশাকটা পরা হবে তা নিয়ে চিন্তা ভাবনার কারণে। এক কাজ করুন না, এই কাজটি রাতেই সেরে ঘুমুতে যান। রাতেই পরের দিনের বাইরে পরার পোশাকটি বের করে রাখুন। এতে সকালের ঝামেলা কমে যাবে।
সকালে কাজে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়োতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাসায় ফেলে কাজে বেড়িয়ে যান অনেকেই। এই ঝামেলা এড়াতে রাতেই গুছিয়ে রাখুন নিজের ব্যাগ ও আনুসাঙ্গিক সকল জিনিসপত্র। দেখবেন আর ভুল হবে না এবং ঝামেলাও কমবে।
রাতে বিছানায় শুয়েই পরের দিনটি নিয়ে একটু চিন্তা করুন কখন কোথায় কোন কাজটি করবেন তার পরিকল্পনা নিজের মনের মধ্যেই সাজিয়ে রাখুন। এতে সময় অনেকটা বাচবে এবং আপনার হিসেব থাকবে নিজের ব্যয়কৃত সময়ের।
সকালে দেরি করে উঠার ঝামেলা তখনই পোহাতে হয় যখন রাতে দেরিতে ঘুমুতে যাওয়া হয়। তাই সকালের এই ঝামেলা এড়িয়ে চলার জন্য রাতে একটু আগেই ঘুমুতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে এবং পরের দিনটিও কাটবে সুন্দর ও ঝামেলামুক্ত ভাবে।