1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
পথও শিশু - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
সাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণ করবেন আব্দুল কুদ্দুস ‘ব্যাড গার্লস’ ওয়েব সিরিজে অনুরূপ আইচের লেখা গানে রাকা জারা ‘ফিল্মের মানুষ কোনো দিন আপন হয় না’ ওমরাহ পালনে সস্ত্রীক সৌদি যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল ৭৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম, সারা দেশে টানা তাপপ্রবাহের রেকর্ড দেশে নয়, বিদেশে নির্জন দ্বীপে বসছে শাকিব খানের বিয়ের আসর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের উপ-অপ্যায়ন সম্পাদক হলেন সোহেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছেন জায়েদ খান শাকিবের তৃতীয় বিয়ে, মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সোনার দাম আরও কমল রাজধানীতে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির জায়েদ খানের এফডিসিতে ফেরা হবে কিনা, জানালেন ডিপজল কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি

পথও শিশু

  • Update Time : শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
  • ৩৮৪ Time View

11904682_553601441459998_7150447690245596439_nমোঃ শামীম মিয়া।
আজকের দিনটা বড়ই মিষ্টি। কয়দিনের টানা বর্ষনে বাহিরে বেড় হওয়া যেতো না। আজ বেড় হলো রাকিব আর দাদা ঢাকা যাওয়ার জন্য। রাকিবের বাবা-মা ঢাকায় চাকুরী করেন। এই প্রথম রাকিব ঢাকায় যাচ্ছে। রাকিব বেশ আনন্দিত। রাকিব আর দাদা, কিছু দুর আসতেই দাদাকে নানান প্রশ্ন করে দাদা এই গ্রামের নাম কি? দাদা বললেন, এই গ্রামের নাম আমদির পাড়া কিছুর যেতেই আবারো প্রশ্ন এই বাজারের নাম কি? দাদা বললেন, এই বাজারের নাম জুমারবাড়ী বাজার। আবারো প্রশ্ন করলো দাদা এই জায়গার নাম কী ? দাদা একটু রাগ করেই বললো, এই জায়গার নাম সাঘাটা। দাদা আরো বললো, এই ভাবে আমি কত জায়গার নাম বলবো ? রাকিব বললো,দাদা এসব জানার জন্যই তোমার সাথে আসা। দাদা বললো, আমি আর বলতে পারবো না। রাকিব বললো ঠিক আছে না বললে। দাদা ঠান্ডা সুরে বলল্,ো জানালা দিয়ে বাহিরে তাকা আমাদের দেশের সবুজ বাংলা গ্রাম গুলো দেখতে ভালোই লাগবে । রাকিব কোন কথা না বলে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকালো, বাহিরের দৃশ্য দেখে সত্যি রাকিবের মন্টা ভালো হলো। মনে মনে বললো, আমাদের বাংলাদেশের গ্রামের সুন্দরর্য্যর তুলনা হয়না। প্রায় এক ঘন্টা পর বাস গাড়িটা থমকিয়ে দ্বাড়ায়। রাকিব ভয় পেয়ে যায়, চারদিক থেকে প্যা পু গাড়ির শব্দে রাকিবের মাথা ব্যথা করছে। দাদা ঘুমিয়ে গেছেন। রাকিব দাদাকে ডেকে বললো, দাদা গাড়ি এভাবে দ্বাড়িয়ে আছে কেন ? দাদা বললো, আমরা এখন গাইবান্ধা শহরে এসেছি । যানযটের কারনে গাড়ি দ্বাড়িয়ে আছে। রাকিব বললো, দাদা গাড়ির প্যা,পু শব্দে তো আমার মাথা ব্যথা করছে। তাছাড়া এই প্যা পু শব্দ , শব্দ দূষনের মধ্যে পরে আর শব্দ দূষণ তো মানুষের নানান ক্ষতি করে। দাদা কোন কথা না বাড়িয়ে বললো, আমরা এখনো যানযটের শহর ঢাকা শহরে যাইনী। তার আগেই তোর মাথা ব্যথা করছে। রাকিব দাদার কথায় কান না দিয়ে দাদার বুকে ঘুমিয়ে যায়। রাকিব ঘুমানোর আগে দাদাকে বলেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু (যমুনা সেতু) দেখবো। দাদা বললো, ঠিক আছে । রাকিব দাদার বুকে ঘুমিয়ে গেলো। সন্ধ্যা সন্ধ্যা ভাব যে কোন সময় মোয়াজ্জেম মাগরিবের আযান দিবেন। ঠিক তখন গাইবান্ধা শহর ছাড়ে তারা।
যানযট কেটে ঠিক রাত দুইটার সময় তারা আসে সেতুর কাছে। দাদা রাকিবকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললো। দাদা বললো, বঙ্গবন্ধু সেতু (যমুনা সেতু) এর কাছে এসেছি। রাকিবের খুব ঘুম পাচ্ছে,তবুও দু-হাতে দু-চোখ মতলাইয়া রাকিব জানালা দিয়ে বাহিরে তাকালো। মেঘে ঢাকা জোসনার রাত বহুদুরেও কিছুটা পরিস্কার দেখা যাচ্ছে, চারদিক বাতি জ্বালানো খুব সুন্দর দেখাচ্ছে উপভক করছে প্রাণ ভরে রাকিব। সেতু পার হওয়ার পর দাদা বললো, কেমন লাগলো সেতু ? রাকিব বললো, দাদা শুধু বই আর টাকার গায়ে যমুনা সেতুর ছবিটা দেখেছি। আজ বাস্তবে দেখলাম রাতে খুব ভালো লাগলো। দিনে হয়তো বা আরো সুন্দর লাগবে। দাদা মাথা নাড়িয়ে বললো, ঠিকই বলেছিস, সেতুর চেহারা রাতে যেমন সুন্দর দিনেও দেখতে অন্য রকম সুন্দর লাগে।
দাদা রাকিবকে বললো, এখন আর ঘুমাসনা জানালা দিয়ে দেখ কত বড় বড় দালানের বাড়ি। রাকিব জালানা, দিয়ে বাহিরে তাকালো। এবং বললো, মনে মনে সত্যি আমাদের দেশের শহর গ্রাম সত্যি খুব সুন্দর । এই কথা বলতেই বাস গাড়ি আবার দ্বাড়িয়ে যায়। দাদা এবার বললো, শুরু হলো, ঢাকা শহরের ঠাসা যানযট। রাকিব বললো, দাদা আর কত দুর বাবা মা থাকেন ? দাদা বললো, আর বেশি দুর না, যানযট না থাকলে দুই ঘন্টা লাগবে। হঠাৎ রাকিব সহ সবার নাকে পঁচা র্দূগন্ধ আসে। রাকিব বললো, এমন পঁচা গন্ধ কৈ থেকে আসছে ? দাদা বললো, কেন রাস্তার পাশে থেকে। রাকিব বললো, দাদা এই পঁচা র্দূগন্ধ কী ক্ষতি করছে জানো ? দাদা বললো, কী ক্ষতি করছে তা তো জানিনা। রাকিব বললো, দাদা আমাদের ক্লাসের পরিবেশ পরিচিত বইয়ে পড়েছি। এই সব ময়লা আর্বজনা থেকে এই সব পঁচা র্দূগন্ধ যা পরিবেশ দূষিতর মূল কারন। এই দর্ূৃগন্ধ গুলোর মধ্যে রয়েছে মানব দেহের ক্ষতিকারক নানান প্রকার জীবাণু তা বাতাসের মাধ্যমে চারদিক ছড়িয়ে যাচ্ছে, আর নিশ্বাসের মাধ্যমে তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। আর আমরা প্রতিদিন যুদ্ধ করছি বিভিন্ন রোগের সাথে। দাদা এই সমস্যা গুলো আমরাই কিন্তু সমাধান করতে পারি ?
ধীরে ধীরে চলছে গাড়ি। দাদা নাতীর গল্প শুনছে সিটে বসা আশে-পাশের লোক গুলো। দাদা বললো, এই সমস্যা গুলোর সমধান আমরাই করতে পারি মানে। এই কাজ গুলো আমরা কেন করবো, করবে সরকারের লোকজন । ছোট্ট রাকিব, এবার রাগি কন্ঠ বলে অযাথা আমরা সরকারের দোষ দেই। আমাদের শিক্ষা গুরু শিক্ষকরা বলেন নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হবে। এই ময়লা গুলো তো তোমার মত আমার মত লোকেরাই ফেলে দেয়। তারা কী পারেনা একটা গর্তে ময়লা গুলো রাখতে। তাছাড়া করপারোশনের ঝাড়–দারা গাড়ি নিয়ে আসেই তাদের গাড়িতে ময়লা গুলো দিতে। আসলে এর সমাধান করতে হলে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। আশে পাশে থাকা লোক গুলো রাকিবকে ধন্যবাদ দিয়ে বললো, সত্যি রাকিব ঠিকই বলেছে। পঁচা গন্ধে রাকিবের মাথা ঘুরছে। বমি বমি ভাব রাকিব বললো, দাদা ইচ্ছা করছে গ্রামে যাই তা তো আর সম্ভাব না। বমি করে রাকিব, দাদা পানি দিলে রাকিব পানি খায় এবং মুখ মুছে ঘুমিয়ে যায় দাদার বুকে।
সকাল সাতটায় তারা আসে তাদের বাসায়। রাকিব ঘুমিয়েই ছিলো। দাদা রাকিবের অসুস্থ হওয়ার কারণ তার বাবা-মাকে বলে। বাবা মা দাদাকে বললো, রাকিব ঘুম থেকে উঠলে, ওযেন গোছল করে। ভাত তরকারী রান্না আছে ওকে খাওয়াবেন বাবা, আমরা যত তাড়াতাড়ি পারি বাসায় আসবো। এই বলে চলে যায় রাকিবের বাবা-মা চাকুরীতে।
ঠিক সকাল এগারোটায় রাকিবের ঘুম ভাঙ্গে। প্রায় সুস্থ রাকিব। দাদা পাশেই ছিলো তাই রাকিব দাদাকে বললো,দাদা আমরা কখন এসেছি ? দাদা বললো, সাতটার দিকে। তারপর রাকিব গোছল সেরে ভাত খেলো রাকিব। ভালো লাগছে না রাকিবের তাই টিভিতে কাটুম দেখছে। হঠাৎ ওর চোখ যায় বাদাম রাখার বোয়ামের (পাত্র) দিকে । আযান দিচ্ছে, দাদা বললো, রাকিব নামাজে যাবিনা ? রাকিব বললো,দাদা ভালো লাগছে না গো, তুমিই যাও। দাদা বললো, ঠিক আছে, আমি নামাজ পড়তে মসজিদে গেলাম । একা একা বাহিরে বেড় হবি না। এটা গ্রাম না ঢাকা শহর ৫২ রাস্তার ৫৩ অলি গলি, হেরে যাবি বেড় হলে। রাকিব বললো, ঠিক আছে । দাদা চলে গেলো । রাকিব বাদাম খাচ্ছে টিভি দেখছে খসা গুলো জানালা দিয়ে বাহিরে ফেলে দিচ্ছে। রাকিবের বাবা-মা দু-তলায় থাকেন। রাকিব দু-তলা থেকে লক্ষ করলো । গায়ে ধুলা-বালি মাখা বস্ত্রবিহীন একটা শিশু প্রায় রাকিবের বয়সের, রাকিবের দিকে তাকিয়ে আছে। মুখ খানা শুকিয়ে গেছে মনে হয় কয়দিন ধরে ভাত খাইনী। রাকিব বললো, বাদাম খাবে ? শিশুটি মাথা নাড়িয়ে বুঝালো, হ্যাঁ। রাকিব তাড়াহুড়া করে নিচে নেমে আসলো পকেট ভরে বাদাম নিয়ে। এসেই পথও শিশু কে বাদাম দিলো। এবং জিজ্ঞাসা করলো ভাই তোমার নাম কী ? শিশুটি এদিক ওদিক তাকাচ্ছে বার বার। রাকিব আবারো জিজ্ঞাসা করলো। শিশুটি বললো, জানিনা তবে লোকেরা টোকাই বলে ডাকে। রাকিব বললো, তোমার বাবা মা নাই ? তারা কি করেন? শিশুটির চোখ মুহুতেই পানিতে ভরে যায়, মাথা নাড়িয়ে বলে নাই। এবং দৌড়ে চলে যায়। রাকিব পেছন থেকে ভাই দাড়াও দাড়াও বলে ডাকলেও সাড়া দেয়না শিশুটি। এর মধ্যেই পেছন থেকে ঘাড়ে হাত রাখে মা জননী। মা বললো, বাবা রাকিব ঐ টোকাই ছেলেটাকে ডাকছিলে কেন ? রাকিব মাকে সব বললো। আরো বলে, আচ্ছা মা ঐ ছেলেটাকে আমি যদি এক প্লেট ভাত খেতে দিতাম, তুমি আমাকে বকতে ? মা মমতা মাখা একটা হাসি দিয়ে বললো না। তাছাড়া আমরা কত ভাত আমরা ডাজবিনে ফেলে দেই। রাকিব বললো, মা তুমি ভাত ডাজবিনে ফেলে দাও, অথচ শিশুটিকে দেখে মনে হলো কতদিন ধরে খায়না। আরো বললো, মা আমি সত্যি খুব কষ্ট পেয়েছি । মা রাকিব কে বললো, রুমে চলো আর তোমার দাদা কৈ ? রাকিব বললো, নামাজ পড়তে মসজিদে গেছে। মা আর ছেলে রুমে আসলো তারপর মা রাকিবকে তার পড়াশুনা ইত্যাদির কথা জিজ্ঞসা করলো। রাকিব সব বললো। মা কে রাকিব বললো, মা, আমি, তুমি, বাবা, দাদা, সবাই কিন্তু বেড়াতে যাবো এক সাথে ? মা বললো ঠিক আছে।
পাঁচ দিন পর ঃ
রাকিব চেষ্টা করে ছেলেটাকে দেখার জন্য কিন্তু দেখা পায়না। নিচ তলার দোকানদার-দের জিজ্ঞাসা করে রাকিব ছেলেটির কথা। রাকিবকে তারা অন্য কথা বলে। তারা বলে, বাবা রাকিব সবে গ্রাম থেকে এসেছো, তাই ঐ টোকাইদের সমন্ধে তোমার জানা নেই। টোকাই গুলোর জন্য আমরা দোকান রেখে একটু বাহিরে যেতে পারিনা। রাকিব বললো, কেন ? দোকানদার বলো, দোকানে থাকতেই রুটি নিয়ে দৌড় দেয় আর না থাকলে তো বুঝেছো নিশ্চয়। আরো বলে রাকিব তুমি ওদের সাথে মিশো না। ওরা কিন্তু সন্ত্রাসী করে। ওদের কাছে অস্ত্র থাকে। রাকিব বললো, আমি যদি অন্যায় না করি, তবুও আমার ক্ষতি করবে ওরা ? দোকানদার বললো, ওদের বিশ্বাস নেই। এর মধ্যে দাদা এসে বলে এই রাকিব সবে পড়িস ক্লাস ফাইবে, মানুষের সেবা আর দেশ নিয়ে তুই এতো ভাবীস কেন রে ? এসব ভাবার জন্য দেশের সরকার আছে। বাসায় চল আমি তোকে খুজতে খুজতে কিলান্ত । রাকিব বললো, দাদা তুমি কথার মাঝে শুধু ঝামেলা বাধ কেন বলো তো ? দাদা বললো,কোথায় আবার ঝামেলা বাধলাম ? রাকিব বললো, দাদা তোমার কথায় কথায় সরকারের দোষ দেওয়ার অভাস টা গেলো না। তাছাড়া আমাদের শিক্ষা গুরু বলেন জনগণ দারা সরকার তৈরী হয়। সরকার দ্বারা সরকার নয়। সেই জনগনের তুমি একজন। তাছাড়া আমার মতে এই পথ শিশু, টোকাই ভাই বোনদের পাশে দ্বারাতে আমাদের ভালোবাসা বিবেগ ওদের জন্য যথেষ্ট। সরকার তো আমাদের জন্য বিনা মূল্যে বই চিকিৎসা উপবৃত্তি ইত্যাদি দিয়ে থাকে। তারা এ থেকে বঞ্চিত আমাদের মত মানুষ গুলোর জন্যই। একটু ভালোবাসার অভাবে ওদের এই অবস্থা। আর এই জন্য দ্বায়ী আমরা।
এই কথা ঐকথা বলতেই দক্ষিনে তাকায় রাকিব। রাকিব কথা বাদ দিয়ে বলে দাদা ওখানে কি হয়েছে ? দাদা বললো, কী আর হবে একটা শিশু ডাজবিনের ড্রেন থেকে পঁচা গলা ভাত খাচ্ছে। রাকিবের মাথার মধ্যে বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো, এবং দৌড়ে যায় সেখানে । শিশুটির দৃশ্য দেখে অবাক হয় রাকিব। এটা তো সেই ছেলে যে ছেলেটা আমার কাছ থেকে বাদাম নিয়েছিলো। কিছু বিবেগ বান মানুষ সেই দৃশ্য যেন হা করে গিলছে। রাকিবের দু-চোখে দু-ফোটা জল চিকচিক করছে। দাদা এসে যায় সেখানে এবং বলে রাকিব ওর কাছে যাস না ভাই ওদের ব্যবহার ভালো না। রাকিব কোন দিকে কান না দিয়ে গুটি গুটি পায়ে শিশুটির কাছে গিয়ে বসে। এবং ঘাড়ে হাত দিয়ে বলে এই ভাই ওগুলো পঁচা গলা ভাত দোকানে আসো আমি তোমাকে ভাত খাওয়াবো। এর মধ্যে সেখানে আসে সেই দোকানদার টা। প্রথমে ছেলেটা চটকানা দেয় ঘাড়ে রাখা হাত টা। এবার শিশুটিকে টেনে আনতে চাইলে শিশুটি তার হাতটা খুলে নিতেই রাকিবের নাকে লাগে। অমনী নাকটা ফেটে যায়। অমনী উপস্থিত থাকা লোকজন শিশুটিকে মারতে আসে। রাকিব লোকদের বাধা দেয়, দাদাকেও কাছে আসতে বাধা দেয়। শিশুটি রাকিবের দিকে তাকিয়ে আছে দু-চোখের পানিতে বুকটা ভিজে যাচ্ছে। রাকিব বুঝেছে আসলে ছেলেটা ইচ্ছে করে তাকে মারিনী। রাকিবের নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। দাদা বলছে, এদিকে আয় রক্ত পড়ছে তো ? রাকিব বলচ্ছে না না এইটা রক্ত না এটা ওদের দেওয়া অভিশাপ। সবাই অবাক, নজর সবার রাকিবের দিকে। এক লোক বললো, এই ছেলে পাগল হয়েছে নাকি একটা টোকাইয়ের জন্য ছি ছি । রাকিব ঐ লোকটার দিকে তাকিয়ে বললো, চাচা আমার দাদা প্রায় বলতো সত্য কথা সাংঘাতিক। আজ আমি সত্য কথা বলছি আর আমি সত্যি পাগল হয়েছি। তবে অনুরোধ করি শেষ পযন্ত শুনবেন। এই শিশুটির ব্যবহার দেখে আপনারা ওকে মারতে এসেছিলেন। আপনারা কি ভেবে ছিলেন একবার ওরা ব্যবহার টা শিখবে কৈ থেকে ? যাদের কাছে ওরা ব্যবহার শিখবে তারাই তো ওদের ঘৃর্না করে পথ শিশু টোকাই বলে। কোনদিন কী ওদের পাশে বসে বলেছিলেন ক্ষুধা লাগলে যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমন আলোকিত জীবন গড়তে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। মা বাবা দু-তলা থেকে দেখছে । রাকিবের কন্ঠ যায় তাদের কানে । মা-বাবা তাড়াহুড়া করে নিচে আসে। এবং অবাক হন ছোট্ট ছেলে রাকিবের দৃশ্য দেখে। রাকিব বললো, শিক্ষা গুরুরা সব সময় বলতেন বলেন মানুষ মানুষের জন্য। আরো বলতেন এই পৃথিবীর মধ্যে সব চাইতে বড় আদালত মানুষের বিবেগ। আমরা এখানে অনেক মানুষ আছি, আমাদের বিবেগ আছে ঘুমিয়ে। আমি বলতে চাই আজ টোকাইয়ের হাতে কলম নেই আছে অস্ত্র আর এই জন্য দায়ী আমরা। আমি আমার কথাই বলি আমি আমার বাবা মার এক মাত্র সন্তান, আমার যদি আরো একটি ভাই বা বোন থাকতো আমার বাবা মা মেনে নিতেন। আপনীও। আমাদের দেশে অনেক বাবা মা আছেন। তারা হাজার হাজার টাকার মালিক নেই সন্তান তাদের। আমার বিশ্বাস তারা যদি এই পথও শিশু ইতিম অসহায় শিশুদের গায়ের ধূলা বালি মুছে দিয়ে বুকে টেনে নিতো আল্লাহ্ তায়ালা তাদের বুক ভরে দিবেন। রাকিবের নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। সেই পথও শিশু দৌড়ে যায় রাকিবের বুকে। রাকিব সহ সবার চোখে পানি । পথও শিশু রাকিবকে বললো, ভাই আমাকে মাফ করে দাও। ভাই আমার মা ছিলো তবে মারা যায় আমি যখন ছোট্ট । বাবা অন্য জায়গায় বিয়ে করে, আর আমি সৎ মার র্নিযাতন সহয্য করতে না পেরে চলে আসি ঢাকায়। রাকিব আর পথও শিশু গল্প করতেই সেই দোকানদার বলে ভাই আমরা অনেক অন্যায় পাপ করেছি। আমাদের চোখ মন বিবেগ আজ এই ছোট্ট শিশু খুলে দিলো। এই হাতে আমি অনেক টোকাই পথও শিশুদের মেরেছি কারণে অকারনে। জানিনা আল্লাহ্ সেই পাপের জন্যই আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন কী না । আমার কোন সন্তান নেই । আমি এই ছেলে টিকে আমার কাছে রাখতে চাই। দোকানদার রাকিবকে বললো, বাবা দিবে তোমার ভাইকে আমাকে ? রাকিব বললো,চাচা এমন করে বলছেন কেন ? মানুষ মানুষের জন্য আর মানুষ আমরা সবাই সবার ভাই। আমি জানি আপনার কাছে ও ভালো থাকবে। তবে ওর কাছ থেকে জানা দরকার ওথাকবে কী না। পথও শিশু টিকে রাকিব বললে পথও শিশু রাজি হয় এবং আবারো রাকিবকে বুকে জড়িয়ে ধরে। রাকিব তার নাম জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমি আমার নাম জানিনা। রাকিব ওর নাম দেয় মোঃ রহমত আলী। সবাই করতালি দিয়ে রাকিবকে শুভেচ্ছা জানায়। রাকিব বললো, আপনারা আমাকে যে হাত দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন আসুন সেই হাত দিয়ে ইতিম অসহায় পথও শিশুদের বুকে টেনে নেই। যে যেভাবে পারি ওদের পাশে দ্বারাই । আল্লাহ আমাদের উপড় রহমত করবেন ইনশাআল্লাহ।
রহমত আলী কে নিয়ে দোকানদার চলে যায় তার বাসায়। সবাই সবার কাজে চলে যায়। তবে সবার মুখে একই কথা এমন ছেলে সবার ঘরে ঘরে যদি থাকতো।
কয়দিন পর রাকিবের পরিক্ষা, গ্রামে যেতে হবে। তাই সে আশে পাশের সবার কাছ থেকে বিদায় নেয়। দোকানদারের কাছ থেকেও রাকিব বিদায় নেয়। অনেক বার রহমত আলীর খোজ নিয়েছে, রাকিব। দেখাও করেছে অনেক বার, সে খুব ভালো আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com