চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গায় প্রায় একই সময়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিবদমান দুই গ্রুপ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। রবিবার রাতে বিবদমান দু, গ্রুপের সংঘর্ষে দুই কর্মি জখম ও বাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে সোমবার বিকালে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় অপ্রতীকর ঘটনার আশঙ্কায় সারা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগের একাংশর বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাঁধা দিলে নেতাকর্মিরা চুয়াডাঙ্গা-যশোর ও চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর সড়ক অবরোধ করে।

রবিবার সংঘর্ষে কর্মি জখম হবার প্রতিবাদে বিকালে জেলা যুবলীগ শহরের শহীদ হাসান চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ প্রতিবাদে সমাবেশে চুয়াডাঙ্গা শহরকে অশান্ত করার অভিযোগ আনা হয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিপু চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সেখানে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরোফিন আলম রঞ্জুসহ যুবলীগের নেতাকর্মিরা।

প্রায় একই সময়ে পাল্টা অভিযোগ এনে জিপু চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা। তারা শহরের কেদারগঞ্জ এলাকা থেকে বিক্ষোভ সহকারে যুবলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ স্থলে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ কোর্টমোড়ে মিছিলটিতে আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মিদের মধ্যে কয়েক দফা ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশী বাঁধায় মিছিলটি সামনে যেতে না পারলে সড়কের উপর বসে চুয়াডাঙ্গা-যশোর সড়ক অবরোধ করে রাখে।

পরে যুবলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা শহীদ হাসান চত্বরে অবস্থান নেন এবং চুয়াডাঙ্গা -মেহেরপুর সড়ক অবরোধ করেন।

এ সময় পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।