সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রীবাহী কীর্তনখোলা-২ লঞ্চে দুই বোনকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার বরিশালের চিফ ম্যাট্রোপলিটন আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, ওই দুই বোনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে চার যুবককে আটক করে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- বরিশাল নগরীর কালীবাড়ি রোড এলাকার মাইকেলের ছেলে ম্যাক্সওয়েল, কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোডের নুরুজ্জামানের ছেলে আহমিদ, ফকিরবাড়ি এলাকার জসিম মিয়ার ছেলে রাব্বি ও একই এলাকার রাজিব।
পুলিশ জানায়, ওই দুই বোন মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের কেবিনযোগে বরিশালের গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত ৩টার দিকে তারা দুই বোন কেবিন থেকে বের হয়ে টয়লেটে যান। এ সময় পাশের কেবিনে থাকা চার যুবক জোরপূর্বক তাদের কক্ষে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে তারা চিৎকার করলে কুষ্টিয়ার মাসুদ নামে এক যাত্রী এসে প্রতিবাদ করেন। এতে তিন যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদকে মারধর করে। এ সময় খবর পেয়ে লঞ্চের মাস্টার এবং আনসার ছুটে এসে তিন যুবককে আটক করে।
পরে বুধবার ভোরে লঞ্চটি বরিশাল নৌ বন্দরে পৌঁছলে ফের বখাটেদের বন্ধুরা মাসুদকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে ওই দুই বোনের ওপর হামলা চালাতে আসলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে দেয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, আটক চার বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আহত মাসুদকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আমপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
বাংলামেইল২৪ডটকম/আর