শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রাইভেট অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহন বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনের পর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমানে সড়কে চলমান অটোরিকশাগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে। এগুলোর সক্ষমতাও কমে এসেছে। কিন্তু সরকার এগুলোর জমা ৩০০ টাকা বাড়িয়ে নতুন করে ৯০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
“এটি আমাদের জন্য কাম্য নয়। আমরা জমার টাকা কমানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।”
সিএনজি অটোরিকশাগুলো মিটার অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ না করার বিষয়ে ‘মালিকদের লোভ’কে দায়ী করে জাকির বলেন, “সিএনজির জমা যখন দৈনিক ৬০০ টাকা ছিল, তখন মালিকরা দুই বেলায় ১২শ টাকা জমা নিতো। এখন ৯০০ টাকা হয়েছে, এখন তারা ১৮শ টাকা করে জমা নেবে।
“মালিকদের নিয়ন্ত্রণ না করা হলে এ খাতে অরাজকতা কাটবে না। অথচ সরকার চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও কখনও কোনো মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না।”
জাকির বলেন, “নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ৬ হাজার প্রাইভেট সিএনজি চলে। এগুলো চালানোর জন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই।
“এগুলোর মালিকরা পুলিশ প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে চালায়। অনুমোদন না থাকলেও এগুলোতে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন পরিবহন করা হয়।”
কিছু ভূয়া গণমাধ্যম এই সিএনজি অটোরিকশাগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করছে অভিযোগ করে জাকির বলেন, “আমরা চাই, এগুলো বন্ধ করতে সরকার কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করুক।”
আগামী ১ অক্টোবর এই দাবিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকায় বায়ু দূষণ কমাতে চলতি শতকের শুরুতে দুই স্ট্রোক ইঞ্জিনের অটোরিকশা তুলে দিয়ে রাজধানীতে চার স্ট্রোক ইঞ্জিনের অটোরিকশা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ‘বেবি ট্যাক্সি’ নামে পরিচিত হলুদ রঙের অটোরিকশাগুলোকে বিদায় করে ২০০২ সালে রাস্তায় নামে সবুজ রঙের সিএনজিচালিত অটোরিকশা।
ইঞ্জিনের ‘ইকোনোমিক লাইফ’ হিসাব করে সেই সময় ৯ বছরের জন্য অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া হলেও মালিক ও চালকদের দাবির কারণে আরো দুই বছর বাড়ানো হয় এর মেয়াদ।
বর্তমানে সবুজ ও ছাই রঙের অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা যায়। সবুজ সিএনজি বাণিজ্যিক আর ছাইগুলো ব্যক্তিগত।
সরকারী নিয়ম অনুসারে, ছাই রঙের অটোরিকশাগুলোতে যাত্রী পরিবহন না করার কথা থাকলেও